ফুল চাষের গুরুত্ব:
ফুল চাষে শখের হলেও ফুল চাষে অর্থও আসে। ফুল চাষের মাধ্যমে ভাল ভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব। জীবিকা বা পেশারূপে ফুল চাষ পরিগনিত হতে পারে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত আমাদের দেশেও ফুল চাষ করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। এক একর জমিতে ধান, পাট, গম ইত্যাদি চাষ করে যে আয় হয় ফুল চাষ করলে তা অপেক্ষা ২-৩ গুণ বেশী আয় হয়। তাই কালক্রমে আমাদের অর্থনীতিতে ফুল এক বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।
জমি নির্বাচন:
ফুল বাগানের জন্য দোআঁশ মাটি সর্বোৎকৃষ্ট। সধারণত এ মাটিতে বালি ও কাঁদার পরিমাণ সমান থাকে। মাটি অনুর্বর হলে তাকে উর্বর করতে হবে। ফুল বাগানের জন্য উঁচু সমতল জমি নির্বাচন করা দরকার। যেখানে বর্ষার পানি জমে সেখানে ফুল বাগান করা উচিত নয়। ফুল বাগান খোলামেলা রোদময় উর্বরস্থানে করা উচিত।
পানি:
ফুল বাগানের নিকটে পানি সেচের জন্য পানির উৎস থাকা খুবই প্রয়োজন। নলকূপ অথবা পুকুরের পানির সাহায্যে ফুল বাগানে সেচ দেওয়া যেতে পারে। পুকুর বা নলকূপ থেকে পানি উঠিয়ে বাগানের সব অংশে দেবার ব্যবস্থাও থাকা দরকার।
সার প্রয়োগ:
ফুল চাষের জন্য বিভিন্ন প্রকার সার ব্যবহার করা হয়। পচাপাতা সার, তরল সার, রাসায়নিক সার, জৈব সার ইত্যাদি। এছাড়াও মৌসুমী ফুল চাষে পচা গোবর কিংবা পাতা পচা সার ব্যবহার করতে হবে। কেয়ারির মাটি সমান করে এক ইঞ্চি পুরু করে তাতে সার ছড়িয়ে দিতে হবে। এরপর এ সার বাগানে মাটির ৬.৭ (১৬সেমি) নিচু পর্যন্ত ভালোভাবে মিশাতে হবে।
ফুল গাছের প্রকারভেদ:
ফুল গাছকে সাধারণত চার ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যেমন- লিলি জাতীয়, ঝোপ জাতীয়, পুষ্পধারী বৃক্ষ ও সুদৃশ্য বৃক্ষ। এছাড়া মৌসুমী ফুলকে শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন দুভাগে ভাগ করা যায়। লিলি জাতীয় ফুল গাছ হলো রজনীগন্ধা, নার্গিস, ভুঁইচাপা, দোলনচাঁপা, কলাবতী ইত্যাদি। ঝোপ জাতীয় গাছ গোলাপ, বেলি, জুঁই, চামেলী, মল্লিকা, গন্ধরাজ, শেফালি টগর, করবী, মালতী ইত্যাদি। পুষ্পধারী বৃক্ষ কনকচাপা, কৃষ্ণচুড়া, বকফুল, সোনালী ইত্যাদি। সুদৃশ্য বৃক্ষ শিরিষ, শিশু, বাবলা, দেবদারু, সেগুন ইত্যাদি।
মাকড়ের জন্য:
ফুল গাছের জন্য মাকড় অত্যন্ত ক্ষতিকর ইহা প্রতিরোধের জন্য ভারটিমেক০১৮ ইসি. ডাইক্লোফল ১৮.৫ ইসি, ম্যাক সালফার অনুমোদিত মাত্রায় ব্যবহার করতে হবে।