১। গ্রাস কার্প ও সর পুটী মাছ ঘাস খায়; কিন্তু ঘাস খাওয়ার পরবর্তীতে fish dung, সিলভার কার্পের বিশেষ প্রিয় খাবার ।
২। ঘাস দেবার ২-৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘাসের গায়ে যে ‘পেরিফাইটন’ জমা / সৃষ্টি হয় তা মাছের আমিষ জাতীয় এবং পছন্দের খাবার।
৩।পুকুরে যথেষ্ট ঘাস (শতকে ১ কেজি হিসাবে) প্রয়োগ করলে মাছ খা’ক না খা’ক, ঘাসের পঁচন শুরু হলে তার নির্যাস জৈব সার হওয়ায় প্রচুর জু’প্লাঙ্কটন তৈরি সাপেক্ষে সব ধরনের মাছের আমিষ জাতীয় খাবার সরবরাহ করে।
৪। ঘাস যখন আধ-পঁচা হয় তখন রুই মাছের বিশেষ পছন্দের খাবার হয়; এই ধরনের খাবার খেলে রুই মাছের রঙ মেরুন-লাল রঙের হয়; যেটির বাজার মূল্য বেশী।
৫। ঘাসের ঝুলন্ত এবং সূক্ষ্ম অংশে প্রচুর ‘ব্যাকটেরিওপ্ল্যাঙ্কটন’ বংশবিস্তার করে ও উৎপাদিত হয়; যা মাছের উচ্চ মানের আমিষের প্রয়োজন মেটায়।
৬। ঘাস পুরো পঁচে গেলে মৃগেল ও কাতলা মাছের খাবার হয়।
৭। পঁচে যাওয়া ঘাসের তলানিতে ‘কাইরোনমিড’ বংশ বিস্তার করে মাছের (বিশেষ করে কার্পিও/ মিরর কার্প ও মৃগেল সহ তলায় বাসকারী মাছের) আমিশ জাতীয় খাবারের জোগান দেয়; কাইরোনমিড এর খাদ্য রুপান্তরের হার হ’ল এর গ্রীহিত খাদ্যের প্রায় ৭৫%, যেখানে অন্যান্য প্রাণীর খাদ্য রুপান্তরের হার ২২-৩০% এর বেশি নয় ) ।
৮। ঘাসের মধ্যে ‘ভিটামিন বি’ এর উপস্থিতি বেশী এবং এই ‘ভিটামিন বি’ মাছের খাদ্য হজম ও আত্তীকরনে সহায়তা করে।
৯। ঘাসকে জৈব সার হিসাবে ব্যবহার করলে পুকুরের জল ধারন ক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে।
১০। ঘাস ব্যবহার করলে জলের রঙ সবুজ/নীলচে থাকে।
১১। পুকুরের ঘাস প্রয়োগ করলে মাছের স্বাদ, গন্ধ ও রঙ একেবারেই প্রাকৃতিক রুপেই পাওয়া যায়।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১০মার্চ২০