পোকা পরিচিতি:
পূর্ণাঙ্গ পামরি পোকা কালো রঙের এবং সারাদেহ কাটাযুক্ত। কীড়া অতিক্ষুদ্র এবং হলদে বর্ণের। কীড়া পাতার দুই স্তরের মাঝখানে অবস্থান করে এবং সবুজ অংশ খায়। স্ত্রী এবং পুরুষ উভয় পোকা গড়ে ১৪-২০ দিন বেঁচে থাকে। এই পোকা ফসলের চারা অবস্থা থেকে সর্বোচ্চ কুশি অবস্থা পর্যন্ত আক্রমণ করে।
অনুকূল পরিবেশ:
- জমিতে দাঁড়ানো পানি।
- ঝিরিঝিরি বৃষ্টি।
- অতিরিক্ত আর্দ্র আবহাওয়া।
- অতিরিক্ত নাইট্রোজেন সারের ব্যবহার।
- বিকল্প পোষকের উপস্থিত।
পামরি পোকার বিকল্প শোষক: আড়াইল, শ্যামা, আঙ্গুলি, মুড়ি ফসল, বন্য ধান ইত্যাদি।
ক্ষতির লক্ষণ:
- পুর্ণ বয়স্ক ও গ্রাব উভয়ই ক্ষতিকর।
- গ্রাব পাতার দুই লেয়ারের মাঝে টানের করে খায়। এটি অসমভাবে সবুজ অংশ খায়।
- পুর্ণ বয়স্ক পোকা পাতার শিরা বরাবর কুড়েকুড়ে খায় ফলে আক্রান্ত পাতায় লম্বালম্বি সমান্তরাল দাগ দেখা যায়। যে অংশটুকু খায় সেখানে শুধু পাতলা পর্দা দেখা যায়।
সমন্বিত ব্যবস্থাপনা:
১। কালচারাল ব্যবস্থাপনা:
- দাঁড়ানো পানি সরিয়ে দিতে হবে।
- সুষম সার ব্যবহার। অতিরিক্ত ইউরিয়া সার প্রয়োগ না করা।
- বিকল্প পোষক ধ্বংস।
- সমকালীন চাষাবাদ।
২। যান্ত্রিক ব্যবস্থাপনা:
- হাতজাল দিয়ে পোকা ধরা।
- আক্রান্ত পাতা কেটে ফেলা (কুশি অবস্থায়)।
৩। জৈবিক ব্যবস্থাপনাঃ পরভোজী– মাকড়সা, ডেমসেল ফ্লাই, ড্রাগন ফ্লাই, লেডিবার্ড বিটল, ক্যারাবিড বিটল, ইয়ার উইগ, হাঁস, ব্যাঙ ইত্যাদি। পরজীবী– ট্রাইকোগ্রামা, ব্রাকন।
৪। রাসায়নিক ব্যবস্থাপনা:
গাছের প্রতি গোছায় ৪টি পূর্ণাঙ্গ পোকা দেখা দিলে অনুমোদিত কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। যেমনঃ অসবেক ৫০ ইসি/কিলার ৫০ ইসি অনুমোদিত মাত্রায় প্রয়োগ করা।