সজনে পাতা দিয়ে জৈব কীটনাশক তৈরি করবেন যেভাবে

1040

দেশি-বিদেশি পুষ্টি বিজ্ঞানীরা সজনেকে অত্যাশ্চর্য বৃক্ষ বা অলৌকিক বলে অভিহিত করেছেন।কারন সজিনার বাকল, শিকড়, ফুল, ফল, পাতা, বীজ এমনকি এর আঠাতেও রয়েছে ঔষধিগুণ। এর পাতায় আট রকম অত্যাবশ্যকীয় এমাইনো এসিডসহ ৩৮% আমিষ আছে যা বহু উদ্ভিদেই নেই। সজিনা সবজির চেয়ে এর পাতার উপকার আরও বেশি। দক্ষিণ আফ্রিকায় এ গাছকে মায়েদের ‘উত্তম বন্ধু’ এবং পুষ্টির এক অনন্য সহজলভ্য উৎস হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। ফসলের পোকামাকড় দমনে সজনে পাতা এখন ব্যবহৃত হচ্ছে। আমরা আজ সজনে পাতা দিয়ে কীটনাশক তৈরি পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব। সজনে পাতার এই জৈব কীটনাশক ফসলের পোকা দমনে যেমন কার্যকারী তেমনি পরিবেশের জন্য নিরাপদ।

উপকরণ:

১) কাঁচা সজনে পাতা ২০০- ২৫০ গ্রাম।
২) পানি ২ লিটার।
৩) সাবান গুড়া/ ডিটারজেন্ট পাউডার ৫ গ্রাম।
অথবা দুই চা চামচ লিকুইড সাবান (স্যাম্পু/ হ্যান্ডওয়াস/ ডিসওয়াস)।

বালাইনাশক প্রস্তুত প্রণালী :

প্রথমে ২০০- ২৫০ গ্রাম সজনে পাতা ১ লিটার পানিতে নিয়ে সেদ্ধ করে নিয়ে ঠান্ডা করে নিতে হবে। ওই পাতা পানি সহ (সিদ্ধ করার পর অবশিষ্ট পানি) শিল পাটায় অথবা মিক্সার মেশিনে ভালো করে থেঁতো/পেস্ট করে নিতে হবে। ওই পেষ্টের সাথে অারো ১ লিটার পানি ভালো করে মিলিয়ে নিতে হবে। একটি পাতলা কাপড় দিয়ে কয়েক বার ছেঁকে নিয়ে ঐ পানিতে ৫ গ্রাম ডিটারজেন্ট পউডার অথবা ২ চা চামচ লিকুইড সাবান ভালো করে মিশিয়ে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে কয়েকবার ছেঁকে নিয়ে যে কোন স্প্রেয়ারে ভরে ব্যবহার করা যাবে।

উক্ত কীটনাশকটি লেদা পোকা, শুয়ো পোকা ও সাদা মাছি দমনে বিশেষ কার্যকারী। প্রয়োজনে ৭-১০ দিন পর আবার ব্যবহার করুন।

বিঃদ্রঃ

১/ কীটনাশকটি বিকেল বেলায় গাছে প্রয়োগ করতে হবে। (রোদ কমে গেলে)
২/ সজনে পাতার তৈরি কীটনাশকটি সংরক্ষণ করা যাবে না।
৩/ কীটনাশক তৈরিতে মাটির পাত্র ব্যবহার করা ভাল।
৪/ গাছের উপর ও নিচের পিঠ স্প্রে করে ভিজিয়ে দিতে হবে।

লেখকঃ মো: মাহফুজুর রহমান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯আগস্ট২০