বাংলাদেশে ব্রাহমা জাতের মুরগি পালন করবেন যেভাবে

1407

উন্নত জাতের আমেরিকান মুরগি ব্রাহমা
ব্রাহমা মুরগি সাধারন মুরগি থেকে অনেকটা বড় প্রজাতির মুরগি। সর্ব প্রথম আমেরিকা, চীনের সাংঘাই থেকে ব্রাহামা মুরগি তাদের দেশে নিয়ে আসে এবং ব্রাহামা মুরগির জাত নিয়া কাজ শুরু করে এবং খুব শীঘ্রই সফলতা অর্জন করে। এর ফলে চীনের ব্রাহামা থেকেও আমেরিকার ব্রাহামা আকারে এবং ওজনে বড় হয়ে থাকে। ১৯৫০ সালে ব্রাহামা মুরগিকে আমেরিকার অন্যতম মাংসের যোগান দাতা হিসেবে গন্য করা হয়।

বিভিন্ন জাতের ব্রাহমা মুরগি

ব্রাহামা মুরগির আদি নিবাস নিয়ে অনেক তর্ক বিতর্ক আছে। আমেরিকাতে যখন ব্রাহামা মুরগি আনা হয় তখন তাকে সাংঘাই মুরগি বলা হত। সব থেকে চাঞ্চল্যকর ব্যাপার হল, ব্রাহামা মুরগিকে উন্নত করার জন্য বাংলাদেশের চট্রগ্রামের এক বিশেষ প্রজাতির মুরগিকে ব্যাবহার করা হয়। এর ফলে ব্রাহামার মুরগির আকারে এক বিশাল পরিবর্তন আশে। ১৮৫২ সালে আমেরিকার অন্যাতম রাজনীতিবিদ জর্জ বুরহাম ইংল্যান্ডের রানি ভিক্টোরিয়াকে ৯টি ব্রাহামা মুরগি উপহার পাঠান। পরবর্তিতে ইংল্যান্ড আমেরিকা থেকে আরও ব্রাহামা আমদানি করে। ১৮৬৫ সালে ব্রিটেন পোল্ট্রি শিল্প সাদা ও ধূসর ব্রাহামাকে গ্রেট ব্রিটেন পোল্ট্রি শিল্পে অন্তর্ভুক্ত করে।১৮৭৪ সালে সাদা ও ধুসর রঙের ব্রাহামা মুরগিকে সব থেকে ভাল মানের মুরগি হিসেবে আমেরিকান পোল্ট্রি আসেসিয়নে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

প্রেগনেন্সি টেস্ট কিটের সাহায্যে গরুর প্রেগনেন্সি টেস্ট করবেন যেভাবে

পোল্ট্রি ফিডের PDI কি,কেন,কিভাবে? ফিড মিলের জন্য জানা জরুরি

গরু মোটাতাজাকরণে দৈনিক কত কেজি ঘাস,খড় ও দানাদার ফিড দিতে হবে এবং এতে দৈনিক মাংস কত কেজি বৃদ্ধি পাবে?

গরু মোটাতাজাকরণে আপনি যে খাবার দিচ্ছেন তা গরুর জন্য যথেষ্ট তো? চলুন বিজ্ঞানভিত্তিক হিসাব দেখে আসি

ল্যাবে ফিড ও ফিডের কাঁচামালের ক্রুড প্রোটিন টেস্ট করার পদ্ধতি

বিনা কারনে এন্টিবায়োটিক নিয়ে ভুল করছেন না তো?

১৮৫০ থেকে ১৯৩০ সাল পর্যন্ত ব্রাহামা মুরগিকে অন্যতম জনপ্রিয় মাংস হিসেবে খাওয়া হতো। ব্রাহামা বড় আকারের মুরগি, কিছু কিছু প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ব্রাহামা হয় ৮ কেজির মত হয় আর প্রাপ্ত বয়স্ক স্ত্রী মুরগি ৬ কেজি হয়ে থাকে। তবে সাধারনত এদের গড় ওজন হয় মোরগটির ৫.৫ কেজি এবং মুরগির ৪.৫ কেজি। ব্রাহামা মুরগির ডিম সাধারন মুরগির থেকে বড় হয় ও বাদামী রঙের হয়। ডিমের গড় ওজন হয় ৫৫-৬০ গ্রাম।

আমেরিকাতে সাধারনত ৩টি রঙের ব্রাহামার দেখা যায়। সাদা, ধূসর ও সোনালী। সাদা ব্রাহামার শরীরের বেশি ভাগ অংশ সাদা হয়। ঘাড় থেকে পিঠ পর্যন্ত কাল ছোপ ছোপ থাকে এবং লেজের অংশ কলো হয়। ধূসর রঙয়ের ব্রাহমা মুরগি পুরো শরীরটা ধূসর বা কিছুটা ছাই রঙয়ের হয় দেখতে। মাথা থেকে গলা পর্যন্ত সাদা রঙয়ের হয়। লেজের শেষ অংশ কালো রঙয়ের হয়। সোনালী রঙয়ের ব্রাহমার পুরো শরীরটা সোনালী রঙয়ের। ঘাড় থেকে গলা পর্যন্ত কাল ছোপ ছোপ আছে। এবং লেজের শেষ অংশ কালো হয়।
ব্রাহমা মুরগি আমাদের দেশীয় আবহাওয়াতে খুব সহজেই মানিয়ে যেতে পারবে। কারন ব্রাহমা মুরগি গরম বা ঠান্ডা যে কোন আবহাওয়াতে সাবলীল থাকে।

বাংলাদেশে আবহাওয়াতে এদের বানিজ্যিক ভাবে পালন সম্ভব। অনেকেই ইতি মধ্যে ব্রাহমা মুরগি নিয়ে কাজ শুরু করেছেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১২সেপ্টেম্বর২০