কবুতরের ক্যাঙ্কার রোগ বা মুখে ঘা রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

793

আজ আমি কবুতরের ক্যাঙ্কার রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ৷
কবুতরের ক্যাঙ্কার রোগ বা কবুতরের মুখের ভিতরে ঘা অতিপরিচিত একটি রোগ৷ কমবেশি সকল কবুতর পালক বন্ধুরা এ রোগের সাথে পরিচিত। কেননা কবুতর মাঝে মাঝেই ক্যাংকার রোগ দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই আজকে আমি কবুতরের ক্যাঙ্কার রোগের ঘরোয়া সমাধান নিয়ে আলোচনা করব। যা ১০০% কার্যকারী এবং পরিক্ষীত।
চলুন বন্ধুরা, কথা না বাড়িয়ে চলুন জেনে নিই কবুতরের ক্যাঙ্কার রোগের লক্ষন।

কবুতরের ক্যাঙ্কার রোগ এর লক্ষণঃ

দেহের কোথায় ক্যাংকার সংক্রমন হয়েছে তার ঊপর নির্ভর করে রোগের লক্ষন বিভিন্ন হতে পারে।
মুখ গহবরে হাল্কা হলদে ঘা।
বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে থ্রোটে সংগক্রমনের ফলে টনসিলে নডুলের কারনে শ্বাস কষ্ট একটি কমন লক্ষন।
খাবারে অনীহা
ওজন হ্রাস
হজমে সমস্যা
ডাইরিয়া
ল্যাথার্জি বা অবশাদগ্রস্থ
মুখ থেকে রক্ত পড়া

কবুতরের ক্যাঙ্কার রোগ

চলুন এবার জেনে নেই , উক্ত রোগ আক্রান্ত কবুতরকে কীভাবে সুস্থ করে তুলবেন?
১। দারুচিনির বড়িঃ
দারুচিনি গুড়া করে পানির সাথে মিক্স করে ১টা পেষ্ট বানান । সেটাকে ডাবলির অাকার দিন । তারপর ১ টা করে ৩বেলা খাইয়ে দিন।
২। হলদের গুঁড়ো নিয়ে তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণ মুখের ভেতরে ঘা-এর মধ্য লাগাবেন দিনে ২ বার করে ৩দিন।
৩। ২০টা ধনে পাতা ১ কাপ পানিতে ফুটিয়ে সেই পানি থেকে ১০ মিলি করে দিনে ২ বার খাওয়ান, ৩ দিন।
৪। কয়েকটি তুলসির পাতা চিবিয়ে নিন। তুলসি পাতার রস ঘা এর মধ্য লাগিয়ে দেন,প্রতিদিন ১বার করে ৩ দিন।

কবুতরের পিজিয়ন পক্স সরকারি ভ্যাকসিন গুলানোর নিয়ম,ডোজ,দেয়ার পদ্ধতি,মাত্রা,সংরক্ষণ ও দাম সহ বিস্তারিত

কবুতরের কোন ভিটামিনের অভাবে কোন রোগ হয় এবং তার প্রতিরোধের উপায়

কবুতর পালনের ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ

কবুতরের ডিম ভাঙ্গার প্রতিকার

কৃত্রিমভাবে কবুতরের ক্রপ মিল্ক তৈরির রেসিপি

কবুতরের ভ্যাকেশন দেয়ার নিয়ম ও ভ্যাকসিন তালিকা

উপরেক্ত উল্লেখিত ৪টা পদ্ধতিই ১০০ ভাগ কার্যকর৷ সুফল পেয়ে বিধায় লিখেছি৷
আপনারা হয়তোবা মনে মনে ভাবছেন,এতগুলি কাজ করতে হবে ?!
না ভাই , এতগুলার একসাথে দরকার নাই৷ শুধুমাত্র ১ নং & ২,৩,৪ নং এর মধ্যে যেকোন একটা কাজ অনুসরন করলেই ইনশাআল্লাহ সুস্থ হয়ে যাবে৷ আরও সহজ ভাষায় বলতে দারুচিনি বড়ির সাথে যেকোন একটা পদ্ধতি অনুসরন করবেন৷ তবে এক্ষত্রে,আমি ১নং কাজ ( দারুচিনি বড়ির ) পাশাপাশি ২ নং কাজ (হলুদ ও মধুর পেস্ট ) ব্যবহারের পরামর্শ দেই৷ কেননা উক্ত উপাদানগুলো সহজলভ্য আমাদের সকলের বাসায়ই কমবেশি আছে|

উল্লেখ্য উক্ত চিকিৎসা রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে কাজ করবে। কিন্তু, রোগ ছড়িয়ে পড়লে কোন চিকিৎসা ই কাজে দিবে না৷ সেক্ষেত্রে যত দ্রুত সম্ভব ভেট ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১২সেপ্টেম্বর২০