বায়োটিন বিভিন্ন এনজাইমের উপাদান হিসেবে কার্বন ডাই-অক্সাইড ফিকজেশন ও ডিকার্বোক্সিলেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, এছাড়া চর্বি সংশ্লেষনে বায়োটিনের কার্যকর ভূমিকা আছে ।
কি কি কারনে বায়োটিন এর অভাব হতে পারেঃ
অধিক পরিমানে এন্টিবায়োটিক খাওয়ালে অন্ত্রে বায়োটিন তৈরিকারী ব্যাকটেরিয়ার মৃত্যু হয় ফলে শরীরে বায়োটিনের অভাব দেখা দেয় ।
খাদ্যে বায়োটিনের পরিমান কম থাকলে ।
অভাবজনিত লক্ষণঃ
√তৃষ্ণা মন্দা, দৈহিক বৃদ্ধি ঠিকমত না হওয়া
√পালকগুলি ভেঙ্গে ঝুলে থাকা
√শুষ্ক চামড়া, বাচ্চা মুরগির মরার হার বৃদ্ধি
√অভাবজনিত মুরগির ডিম থেকে ফুটা বাচ্চার পেরেসিস হয়
√কঠিনভাবে আক্রান্ত মুরগির চোয়ালের দুই পাশে এবং পায়ের প্যাডে কড়া (Dermatitis) পরে
√অনেক সময় চোখের পাতা একত্রিত হয়ে চোখ বন্ধও হয়ে যেতে পারে
চিকিৎসা ও প্রতিরোধঃ
√নিকটস্থ ভেটেরিনারিয়ানের পরামর্শ নিন ।
√বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ালে বায়োটিনের অভাব হয় না।
√শস্য, ঈস্ট, আলফালফা, দুগ্ধজাত দ্রব্য, সয়াবিন, ও সবুজ শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমানে বায়োটিন থাকে ।
√অত্যধিক পরিমানে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে বিরত থাকুন ।
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৩ডিসেম্বর২০২০