[su_slider source=”media: 3404,3405,3406″ title=”no” pages=”no”]
কৃষিবিদ প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, রাঙ্গামাটি থেকে: উপজেলা কৃষি অফিস আয়োজিত রাজস্ব খাতভূক্ত হাইব্রিড ভুট্টা প্রদর্শনীর ওপর এক কৃষকমাঠ দিবস গত ০৯ মার্চ রাঙ্গামাটি সদরের রাঙ্গাপানি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা চেয়ারম্যান অরুন কান্তি চাকমার সভাপতিত্বে এ উপলক্ষে এক আালোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই), রাঙ্গামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এ কে এম হারুন-অর-রশিদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডিএইর জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার কৃষ্ণ প্রসাদ মল্লিক, অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক তপন কুমার পাল, আঞ্চলিক কৃষি তথ্য অফিসার প্রসেনজিৎ মিস্ত্রী, উপজেলা কৃষি অফিসার আপ্রু মারমা এবং রাঙ্গাপনির কার্বারী শ্যামল মিত্র। অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিবৃন্দ রাজস্ব খাতে স্থাপিত ভূট্টা প্রদর্শনীর ক্ষেত পরিদর্শন করেন। এরপর সদরের কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার সুষ্মিতা চাকমার সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার আপ্রু মারমা। ভূট্টা চাষের অভিজ্ঞতা, প্রাসঙ্গিকতা, সম্ভাবনা , ভূট্টা চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তা ও পরামর্শ বিষয়ে প্রদর্শনী চাষি নন্দ কিশোর চাকমা তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তপন কুমার পাল বলেন, বাংলাদেশের কৃষির সর্বিক উন্নয়ন এখন দ্রুততর গতিতে এগিয়ে চলেছে। পূর্বের ভরণপোষণমূলক কৃষিকে অর্থনৈতিক কৃষিতে উত্তরণের জন্য উচ্চ মূল্যের নতুন নতুন ফসল চাষে তৃণমূল পর্যায়ের কৃষকদের এগিয়ে আসতে হবে। জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা তাঁর বক্তৃতায় তিনি বলেন, কোনো এলাকায় যেকোনো নতুন ফসল চাষের ক্ষেত্রে দলীয়ভাবে করলে ঝুঁকি কম হয়। এতে অনেক প্রতিবন্ধকতা এড়িয়ে কাক্সিক্ষত ফলন লাভে অনেক সুফল পাওয়া যায়।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তৃতায় বলেন, রবি মৌসুমে বোরা ধান চাষে সেচের পনি হিসেবে ভূগর্ভস্থ পানির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিন দিন নিচে নেমে যাচ্ছে। এতে অদূর ভবিষ্যতে ফসল চাষে বিভিন্ন বিপর্যয় দেখা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেপ্রেক্ষিতে যেসব ফসল চাষে সেচ কম লাগে যেমন: ভূট্টা, গম, তরমুজ, সরিষা, মুগ ডাল, বৃষ্টিনির্ভর আউশ ধান এসব চাষের ব্যাপারে এগিয়ে আসার জন্য তিনি স্থানীয় কৃষকদের প্রতি আহবান জানান। এছাড়া ঘরে বসে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানান জন্য তিনি কৃষি বিষয়ক মাসিক ‘কৃষিকথা’ পত্রিকার গ্রাহক হওয়ার ব্যাপারেও পরামর্শ প্রদান করেন। সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান বলেন, হাইব্রিড ভূট্টা চাষে রোগ-পোকার আক্রমণ কম হয়, সেচ কম লাগে, কম খরচে লাভ অনেক বেশি পাওয়া যায়। তাই রাঙ্গাপনি এলাকায় এর আবাদ বাড়ানো গেলে স্থানীয় কৃষকদের অর্থনৈতিক অবস্থার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন ঘটবে। তিনি তৃণমূল পর্যায়ে লাভজনক ফসল চাষে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে উন্নতমানের বীজ, সার এবং বালাইনাশকের সরবরাহ অব্যাহত রাখার ব্যপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। মাঠ দিবসে এলাকার সর্বস্তরের কৃষক এবং গণ্যমান্য ব্যক্তিসহ ৭০ জন অংশগ্রহণ করেন।