কমেছে ব্রয়লারের দাম, স্থিতিশীল ডিমের বাজার

259

বর্তমানে রাজশাহীর বাজারগুলোতে ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে ডিমের দামে কোন পরিবর্তন না হয়ে স্থিতিশীল রয়েছে।

মুরগির দাম বাড়ার কারণে মাংস উৎপাদনে ফিরেছেন খামারিরা। বাজেট পরবর্তী সময়ে সরকারি সহযোগিতার দিকে বেশ আশাবাদী ছিলেন খাত সংশ্লিষ্ট সকলেই। খামারিরা চাতক পাখির মতো চেয়ে থেকেছেন- পোল্ট্রি ফিডের দাম হয়ত কমবে। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। উল্টো খাদ্যের দাম বাড়তি রেখে কমে গেছে মুরগির দাম। এতে হতাশ খামারিরা।

অন্যান্য মুরগির দাম বাড়তি থাকায় মাংস উৎপাদনের দিকে যেমন, ব্রয়লার, সোনালি, কক এসব মুরগির বাচ্চা আবারো খামারে তুলতে শুরু করেছেন বলে জানান রাজশাহী পোল্ট্রি এসোসিয়েশন।

আজ শনিবার ( ১১ জুন ২০২২) রাজশাহীর সাহেব বাজার এলাকার খুচরা ও পাইকারী দোকান ঘুরে দেখা গেছে। ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতিকেজিতে ৫ টাকা কমে গেছে। খামারি পর্যায়ে ১১৫-১২০ টাকা দাম হলেও তা খুচরা বাজারে এসে ১৪৫ টাকা কেজি হয়ে যায়।

মুরগি দোকানদার মিঠু হোসেন বলেন, পোল্ট্রি মুরগি ১৪৫ টাকা দরে বেঁচা হচ্ছে। ব্রয়লারের আমদানী আছে দামও আছে। সোনালি মুরগির দাম বাড়ছে কারণ বাজারে সোনালি মুরগি একটু কম। সোনালি ২৫০ টাকা, কক মুরগি ২৫০ টাকা, হাঁস ৩৩০ টাকা, রাজহাঁস ৪৫০ টাকা কেজি বিক্রি করছি।

একই বাজারের ফাহিম ডিম ভান্ডারের মালিক মাসুদরানা বলেন, ডিমের দামে খামারিরা কিছুটা লাভবান হচ্ছেন। খাবারের দাম বেশি থাকলে লাভ কিছুটা কম হয়। লাল ডিম পাইকারিতে হালি ৩৮ টাকা টাকা আর সাদা ডিম ৩৪ টাকা দরে বিক্রি করছি।

রাজশাহীর পবা উপজেলার পোল্ট্রি খামারি ও উদ্যোক্তা মুজিবুর রহমান বলেন, মূলত প্রান্তিক এক হাজার-দু-হাজার মুরগির খামারিরা ধ্বংশ হয়ে গেছে। বাণিজ্যিকভাবে যেসব মুরগি ও ডিমের উৎপাদন হচ্ছে তা বাজারে আসলে দাম কমার আশঙ্কা রয়েছে। গতমাসে মুরগিতে ১০ টাকা বেড়েছে, আবার শুনছি ১৫ টাকা কমবে। এমন উঠানামার মধ্যেই আছি। এক চালান দাম পেলে পরের চালানেই শেষ! ১১০ টাকা কেজি মুরগি বিক্রি করে কোন লাভ নাই।

খাদ্যের দামে উৎপাদিত মুরগির ডিমের দাম তুলনামূলক ঠিক আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, একটা ডিম উৎপাদন করতে লাগে ৭ টাকা ৪০ পয়সা। আর বাজারে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা। ৬০ পয়সা লাভ দিয়ে কোন কিছু করা সম্ভব কি? প্রশ্ন রাখেন তিনি। আমাদের দেশের সিন্ডিকেট সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। ৪-৫ দফায় পোল্ট্রি খাদ্যের দাম বেড়ে এখন আকাশচুম্বী। ১৮’শ টাকার খাদ্যের বস্তা এখন ২৮’শ টাকা। সরকারের কোন পদক্ষেপ নেই। খামারি মরলে তাদের কি?

জানতে চাইলে রাজশাহী পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক বলেন, রাজশাহীতে করোনায় ৭০ ভাগ খামার বন্ধ। মাঝখানে উৎপাদন খরচ আরো বেড়ে গেলো, কারণ ভুট্টা, সয়াবিন মিল, প্রোটিনের দাম বেড়েছে। রেডি মুরগির দাম কমায় খামারিরা আরো বিপাকে পড়েছে।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১১জুন ২০২২