সিলেটে বন্যার পানিতে ভাসছে পোল্ট্রি খামার!

325

বন্যায় ভয়াবহ বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে সিলেট-সুনামগঞ্জের ৪০ লাখ মানুষ। বন্যার পানিতে ভেসে যাচ্ছে গরু, ছাগল ও হাঁস-মুরগির খামার। গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগি ফেলে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে না চাইলেও ছুটে যেতে বাধ্য হচ্ছেন খামারিরা।

স্থানীয়রা জানায়, বন্যার্ত এলাকায় আউশ ধানের বীজতলা, পুকুরের মাছ, মুরগির খামার, গবাদিপশু, শাকসবজি, রাস্তাঘাট, বাড়িঘরসহ সবখানে পানি ঢুকে সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। বন্যাকবলিত মানুষ কোনোরকমে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করলেও গবাদিপশুদের নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে রেখে আসছেন। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় গোখাদ্যের সঙ্কট দেখা দিয়েছে।

গোয়াইনঘাটের পোল্ট্রি খামারি মিশকাত বলেন, বন্যার পানিতে গরু ছাগল সহ পোল্ট্রির খামার ভেসে গেছে। মুরগির ৮ বস্তা ফিড সম্পূর্ণ ভিজে নষ্ট হয়ে গেছে। শেডে প্রায় ১ হাজার রেডি মুরগি ছিল। কাল পরশুর মধ্যে বিক্রি করতে পারতাম কিন্তু বন্যার পানিতে বেশিরভাগ মুরগি ভেসে গেছে আর যা আছে সেগুলোও অতিরিক্ত ঠান্ডায় মারা যাচ্ছে। এতে করে তার অনেক টাকা লোকসান হয়ে গেল বলে তিনি জানান।

ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের বীর দক্ষিণ গ্রামের কৃষক ছোটন মিয়া (৩৫)। মাসখানেক আগে বাড়ির গোয়ালঘরে মাচা করে সেখানে ৪০ মণ শুকনো ধান রেখেছিলেন। তার গোয়ালঘর ও বসতঘরে বন্যার পানি ঢোকায় কোনোরকমে ধান, গবাদিপশুগুলোকে পাশের একটি বিদ্যালয়ে রেখেছেন।

উপজেলার মধ্যনগর বাজারের বাসিন্দা আলা উদ্দিন বলেন, যত সময় যাচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির ততই অবনতি হচ্ছে। উপজেলার মধ্যে মধ্যনগর বাজারটি সবচেয়ে বড় বাজার। এ বাজারের রাস্তাসহ সবখানেই এখন হাঁটুপানি। বাজারের ধানের আড়তগুলোতে পানি ঢুকে পড়ায় হাজার হাজার মণ ধান নষ্ট হচ্ছে। বন্যাকবলিত মানুষদের জন্য দ্রুত শুকনা খাবার ও ত্রাণ পাঠানোর জন্য দাবি জানান তিনি।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২০জুন ২০২২