ব্রুডারে বাচ্চা প্রদানের পর বাচ্চার আচরণ পরীক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । বাচ্চার জন্য অনুকুল তাপমাত্রা বাচ্চার আচণ দেখে অনুমান করতে হয়, যেমন-
তাপমাত্রা বেশী বা কম হলে বাচ্চার আচরণ যেমন হবেঃ
ব্রুডারে তাপ বেশি হলে বাচ্চা তাপের উৎস হতে দূরে থাকবে ও ব্রন্ডার গার্ডের গা ঘেষে জমা হবে।
ব্রুডারে তাপ কম হলে তাপের উৎসের নীচে বেশী তাপের আশায় বাচ্চা ভীড় করে এবং পরস্পর জড়াজড়ি করে গরম হতে চেষ্টা করে। এই অবস্থায় চাপাচাপিতে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে বাচ্চা মারা যেতে পারে।
বাচ্চার অনুকূলে তাপ থাকলে বাচ্চা স্বতঃস্কুর্ত থাকে এবং সুষ্ঠুভাবে খাদ্য খায় ও পানি পান করে।
বাচ্চা স্বতঃক্ফুর্তভাবে চলাচল ও পানি পান না করলে বুঝতে হবে বাচ্চা অসুস্থ
হোভার অথবা তাপের উৎস উচু-নীচু করে তাপ কম-বেশী করতে হবে।
ব্রুডারে বাচ্চা দেওয়ার পর রুটিন মত পর্যবেক্ষণ যথেষ্ট নয়। বার বার ব্রুডারে ঘরে প্রবেশ করে ব্রুডারে বাচ্চার আচরণ পরীক্ষার পর ব্যবস্থা নিতে হয়। এ জন্য ২ সপ্তাহ বয়স পর্যন্ত বাচ্চার অত্যন্ত সংকটময় সময়|
হঠাৎ করে আলো নিতে যাওয়া, ঘরের তাপমাত্রা পরিবর্তন, ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা, খাদ্য ও পানির পরিবর্তন, বিভিন্ন প্রকার শব্দ ও হট্টগোল বাচ্চার ধকল সৃষ্টি করে। তাই বাচ্চার আচরণ দেখে এ সমস্ত ধকল প্রতিকারের ব্যবস্থা গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
পানি পান করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হয়। প্রয়োজন হলে হাতে ধরে পানি পান করাতে হয়। সূত্রঃ সিআইজি খামারী প্রশিক্ষণ ম্যানুয়াল
ফার্মসএন্ডফার্মার/০৭আগস্ট ২০২২