খামার’কে মাছি মুক্ত রাখার চেষ্টা করুনঃ
খামারেঅত্যাধিক মাছিহবার কারনঃ
১. মাছি ১৬-৪০ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার মাঝে ভাল বংশবৃদ্ধি করতে পারে। ১২ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নীচে এদের বংশবৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যায়।এবং তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে এরা সক্রিয় হয় এবং বংশবৃদ্ধি ঘটায়। তবে ৪৫ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেডের উপর তাপমাত্রায় মাছির ডিম ও লার্ভা মারা যায়।
২. লিটার অব্যবস্থাপনাঃ
ক. ভেজা, স্যাঁতস্যাতে লিটার।
খ. দলা পাকানো লিটার।
গ. পুরাতন লিটার খামারের পাশে রাখা।
ঘ. পূর্বের ফ্লকের লিটার নতুন ফ্লকে ব্যবহার করা।
ঙ. লিটার ট্রিটমেন্ট না করে ব্যবহার করা।
চ. নিয়মিত লিটার উলোট-পালোট না করা।
৩. বাতাসে অত্যাধিক আদ্রর্তা থাকা। বিশেষ করে বর্ষাকালে বাতাসে জলীয়বাষ্প বেশী থাকার কারনে লিটার সহজেই স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে যায়। যা মাছি উৎপাদনের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করে।
৪. খামারের কাছাকাছি পচনশীল বস্তু থাকলে। যেমনঃ মরা মুরগী খামারের কাছাকাছি ফেলে রাখলে, বিভিন্ন ফলের খোসা, ফলের অবশিষ্টাংশ খামারের কাছাকাছি ফেললে মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়।
৫. মুরগীর পায়খানা নিয়মিত পরিষ্কার না করলে।
৬. মুরগী পাতলা পায়খানা করলে খামারে মাছি বেড়ে যায়।
৬. কক্সিডিওসিস হলেও খামারে মাছি বেড়ে যেতে পারে।
মাছিরউপদ্রব থেকেবাঁচতে করনীয়ঃ
সবসময় ম্যানেজমেন্টাল বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে।তাই মাছির উপদ্রব থেকে বাঁচতে আমার প্রথম পরামর্শ হলো ম্যানেজমেন্টাল উন্নতি করতে হবে।
তারপর অন্যকিছু।
ক. ব্যবস্থাপনাগত প্রতিরোধঃ
১. লিটার পরিষ্কার ও শুকনো রাখতে হবে। ভেজা বা স্যাঁতস্যাঁতে লিটার দ্রুত পরিবর্তন করতে হবে।
২. মৃত মুরগী খামার থেকে দুরে মাটিতে পুতে ফেলতে হবে।
৩. মুরগীর পায়খানা নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে।
৪. খামারের চারপাশ পরিষ্কার-পরিছন্ন রাখতে হবে। এবং নিয়মিত চুন, ব্লিচিং পাউডার ও জীবানু নাশক ব্যবহার করতে হবে।
৫. মাছির উৎস খুঁজে বের করতে হবে এবং তা ধ্বংস করতে হবে।
৬. পূর্বের ব্যাচের লিটার খামারে আশে পাশে না রেখে দুরে কোথাও ফেলে আসতে হবে।
খ. ক্যামিক্যাল ট্রিটমেন্টঃ
১. খামারের চারপাশে তারপিন তেল স্প্রে করতে পারেন। এটা মাছি তাড়াতে সাহায্য করবে।
২. ইনসেক্টিসাইড সম্বলিত বিভিন্ন প্রিপারেশন পাওয়া যায়। যেমনঃ SI Fly Trap-G, No Kroach ইত্যাদি। এগুলো নির্দিষ্ট মাত্রায় খামারের চারপাশে ছিটিয়ে দিলে মাছি (প্রাপ্তবয়স্ক) মারা যায়।
৩. এছাড়া Cyromazine সম্বলিত বিভিন্ন প্রিপারেশন আছে যেগুলো খাদ্যের সাথে ব্যবহার করা হয়। এগুলো ব্যবহার করলে মাছির ডিম ও লার্ভা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
৪. এছাড়া লিটারে অ্যামোনিয়া রিডিউসারও ব্যবহার করতে পারেন। এতে কিছুটা হলেও মাছির উপদ্রব কমে।
ধন্যবাদ
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২২সেপ্টেম্বর ২০২২