পোল্ট্রি খামারে আলোর গুরত্ব অপরিসীম। আলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার ফলে অনেক সমস্যা থেকে মুক্ত হওয়া যায় আবার আলোর অব্যবস্থাপনার কারণে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
পোল্ট্রি ফার্মিং এ আলোক ব্যবস্থাপনা বলতে তিনটি বিষয় বুঝায়।
১. আলোর স্থায়িত্বকাল। মানে কত সময় ধরে আলো দিবেন।
২. আলোর তীব্রতা। মানে আলোর উজ্জ্বলতা কতটুকু দিবেন।
৩. আলোর রঙ। মানে কখন কি রঙের আলো দিবেন।
এখানে আলোর রঙের সাথে সম্পর্কিত কিছু পরামর্শ দিবো। আলো বিভিন্ন রঙের হতে পারে। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ, সাদা ইত্যাদি।
বর্তমানে আধুনিক পোল্ট্রি ফার্মিং এ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রঙের আলো ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ
১. নীল আলোঃ সাধারণত ব্রয়লার মুরগীতে বিশেষ করে কন্ট্রোল হাউজে নীল আলো ব্যবহার করা হয়। নীল আলো ব্রয়লার মুরগীকে শান্ত রাখে। ব্রয়লার মুরগীর চঞ্চলতা দূর করে। অনেক সময় ব্রয়লার মুরগীকে শান্ত রাখার জন্য আমরা রাতের বেলা লাইট বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে থাকি। কিন্তু এতে করে লাইট বন্ধ থাকার কারণে মুরগী খাদ্য কম খায় এবং ওজনও কিছুটা হ্রাস পায়। এক্ষেত্রে নীল আলো ব্যবহার করলে মুরগী শান্ত থাকবে সাথে খাদ্য গ্রহনের পরিমাণ হ্রাস পাবে না।
২. লাল আলোঃ আধুনিক পোল্ট্রি বিজ্ঞানে লেয়ার বা সোনালী মুরগীর ক্যানাবলিজম প্রতিরোধ করতে লাল আলো ব্যবহার করা হয়। মুরগী ঠোকরা-ঠুকরি, ফেদার পিকিং, ভেন্ট পিকিং শুরু করলে শেডে লাল আলো দিয়ে দিন। দ্রুত এদের ক্যানাবলিজম(ঠোকরা ঠুকরি) বন্ধ হয়ে যাবে।
৩. নীলাভ সবুজঃ নীলাভ সবুজ রং মুরগীর বিশেষ করে ব্রয়লারের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। বর্তমানে অনেক ব্রয়লার কন্ট্রোল হাউজে ব্রয়লারের দ্রুত বৃদ্ধির জন্য নীলাভ-সবুজ আলো ব্যবহার করা হয়।
৪. কমলা-লাল আলোঃ এই আলো মুরগীর প্রজনন প্রক্রিয়াকে উদ্দীপ্ত করে। ডিমের ফার্টিলিটি, হ্যাচাবিলিটি ও ডিমের ওজন বৃদ্ধি করতে কমলা-লাল আলো ভাল কাজ করে। ব্রিডার মোরগ-মুরগীর প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে কমলা-লাল আলো ব্যবহার হয়ে থাকে।
৫. সাদা আলোঃ সাদা আলো বলতে বর্নহীন, সাধারন আলো বুঝায়। সাদা আলো মুরগীর ডিমের সংখ্যা, প্রোডাকশন বৃদ্ধি ও ডিমের খোসা শক্ত করে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/ ৩১অক্টোবর ২০২২