দিনাজপুরের খানসামায় উপজেলায় চাহিদার সাথে দাম ভাল পাওয়ায় আগাম জাতের উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্টা চাষ করছেন কৃষকরা। কম খরচে দ্বিগুণ লাভ হওয়ায় উপজেলার বিস্তীর্ণ মাঠজুড়ে এখন শুধু ভুট্টার আবাদেই প্রাধান্য পেয়েছে। তবে এবার অনুকূল আবহাওয়া ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে বেশি ফলনের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকেরা। ভুট্টা বেশী চাষ হয় জেলার খানসামা উপজেলায়।
অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভজনক হওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এবার খানসামায় ৯০০ হেক্টর জমিতে বেশী ভুট্টা চাষ হচ্ছে। খানসামা উপজেলায় ১৫-১৬টি জাতের ভুট্টার চাষ হয়েছে।
উপজেলার অপেক্ষাকৃত উঁচু জমিগুলোতে আগাম জাতের এসব ভুট্টা লাগানো হয়েছে। চাহিদার সাথে বাজার মূল্য বেশি এবং অধিক লাভের আশায় কৃষকরা এবার বোরো ধানের জমিতেও আগাম জাতের ও অধিক ফলনশীল পুষ্টিসমৃদ্ধ দানাদার জাতীয় এই ভুট্টা চাষ করছেন কৃষক।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে ৮ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতবার ছিল ৭ হাজার ৩২৫ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা। এবার ৯০০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ বেড়েছে।
খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ি গ্রামের কৃষক সালাউদ্দিন বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীল জাতের ভুট্টার চাষ করেছি। তুলনামুলক কম খরচে ও স্বল্প সময়ে এ ফসল ঘরে তোলা যায়। বর্তমান বাজারে চাহিদা ও দাম দুটোই ভালো রয়েছে। আগামী দেড় মাসের মধ্যে ভুট্টা সংগ্রহ ও মাড়াই শুরু হবে।
খানসামা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ বাসুদেব রায় জানান, চাহিদার সাথে বাজার মূল্য বেশি এবং অধিক লাভের কারণে এবার ভুট্টা চাষ বেড়েছে। প্রতি বছরই তুলনামূলক ভালো ফলন হওয়ায় ভুট্টার চাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। কৃষি বিভাগ থেকে বীজ, সার, কীটনাশক দিয়ে কৃষকদের সহায়তা করা হচ্ছে। জমিতে রোগবালাই দমনের জন্য মাঠপর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা নানা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন।