পরিকল্পনা কিছুটা দীর্ঘমেয়াদী কিন্তু লাভ নিশ্চিত। শহর অঞ্চলের খামার শুধু না, বাংলাদেশের সকল জায়গার খামারগুলোতে অধিক দুধ দেয়া সম্পন গাভীর অত্যন্ত চাহিদা। ২০ লিটার দুধ দেয়া সম্পন্ন একটি গাভী ২.৫০ লাখ থেকে ৩ লাখে বিক্রি হয়। ভাল কৌলিক গুনাগুন সম্পন্ন সিমেন ব্যবহার করে একটি গাভী থেকে অধিক দুধ দেয়া সম্পন্ন গাভী তৈরী করা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে আপনাকে কিছু জানতে হবে কি ধরনের গাভীকে কি সিমেন ব্যবহার করবেন। এসোসিয়েশন এই ব্যাপারে আপনাকে সহযোগিতা করবে৷
বাংলাদেশে সবচেয়ে অধিক দুধ দেয়া সম্পন্ন গাভী ছিল বিদেশী ফ্রিজিয়ান এবং দেশী গাভীর ক্রস ব্রিড যেখানে ফ্রিজিয়ানের ব্লাড লাইন ছিল ৫০% এবং একটি গাভী থেকে দুধ পাওয়া যেত ৪০ থেকে ৪৫ লিটার। বাংলাদেশে আর্থসামাজিক অবস্থায় কম বিনিয়োগে এমন অধিক দুধ দেয়া সম্পন্ন একটি গাভী খামারির জন্য অত্যন্ত লাভবান।
একটি দেশী গাভীকে বিদেশী ভাল মানের সিমেন ব্যবহার করে আপনি যদি তথ্য রেকর্ড সম্বলিত একটি দুগ্ধ গাভী তৈরী করতে পারেন যা বিক্রয় করে খুব সহজেই আপনি লাভবান হতে পারবেন। নিজের মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন এসেছে কেউ কি করছেনা এভাবে? আমি বলবো, ১০০০ জনে ১ জনও করছেনা সঠিক নিয়ম মেনে। হাতে গোনা কয়েকটা বড় ফার্ম মেইন্টেন করছেন। আর যে কারণে সে সব ফার্মের দুধের গাভী বিক্রয় হয় অধিক উচ্চদামে। বিষয়গুলো আপনি জানতে পারলে আপনি নিজেও ভাল মানের বকনা, ষাড় ও গাভী তৈরী করতে পারবেন।
গরুর খাদ্য কর্ন সাইলেজ ফডার হিসাবে বিশ্বে সমাদৃত। বাংলাদেশে বর্তমান বাজারে কর্ন সাইলেজের যা চাহিদা আছে তার ১% সাপ্লাই নেই। যারা কর্ন সাইলেজ উতপাদন করছে প্রোডাকশন আসার আগেই তাদের আগাম বুকিং দেয়া থাকে সারা বছরের জন্য। এখানেও বেশ ভাল ব্যবসা করার সুযোগ আছে।
খামার মালিক সমিতি “বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস এসোসিয়েশন” তরুন উদ্যোক্তাদের খামার বিষয়ক এবং খামারের সাথে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যবসার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে থাকে কোন প্রকার ফিস ছাড়াই।