শীতের সবজির সরবরাহ বাড়ায় খুলনার বাজারগুলোয় বইছে স্বস্তির বাতাস। সবজির পাশাপাশি কমতে শুরু করেছে আলু, পেঁয়াজ, ডিম আর মাছের দাম। একই সঙ্গে কমেছে আটার দামও। খুলনা মহানগরীর টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, ময়লাপোতা বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা যায়।
বাজারে ৩০ টাকা দরেও পাওয়া যাচ্ছে ফুলকপি, বিটকপি, ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে মুলা আর বাঁধাকপি। ৫০ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। এছাড়া অন্যান্য সবজির দামও ৪০-৫০ টাকার মধ্যে রয়েছে।
নগরের জোড়াকল বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা রানা বলেন, বছরের এই সময় সবজি বিক্রি করে শান্তি পাওয়া যায়। মানুষ অল্প টাকার মধ্যে বেশি বেশি সবজি কিনতে পারে। তাই সকালে আনা সবজি দুপুরের আগেই বিক্রি হয়ে যায়। আবার বিকালে সবজি আনলে রাতে বিক্রি করা যায়।
আরেক সবজি বিক্রেতা মিরাজ বলেন, এখন বাজারে শীতকালের সবজির চাহিদা বেশি। তবুও ফুলকপি, বাঁধাকপির পাশাপাশি লাউ, নানা ধরনের শাকের বিক্রি বেড়েছে। পেঁয়াজের কালি এসেই ২৫০-৩২০ টাকায় বিক্রি হলেও, এখন তা ১৪০ টাকায় নেমে এসেছে। আর ১২০ টাকার নতুন আলু ৭০ টাকায় নেমে এসেছে। তবে শীতের সবজির সহজলভ্যতায় দাম কমলেও পুরোনো আলু আজও বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে। সরবরাহ না কমলেও দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেই আগের দামেই। ১১০ টাকায় দেশি পেঁয়াজ আর ৯০ টাকায় আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে জানা যায়, ১২০ থেকে শুরু করে ২৫০ টাকার মধ্যে রুই, কাতলা, মৃগেল ও কার্প জাতীয় মাছ পাওয়া যাচ্ছে সব বাজারে। ২-৩ ধরনের মাছের দাম হাঁকা হচ্ছে ৩৫০-৫০০ টাকা।
মিস্ত্রিপাড়া বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, কয়েকদিন আগেও খোলা আটা বিক্রি করেছি ৫০-৫৫ টাকায়। আজ সেই আটা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। আটার মতোই ডিমের দামও কমেছে। ৫২ টাকা হালির ডিমের দাম এখন ৪০ টাকায় নেমে এসেছে।