এ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ । বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান, স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাধারন সম্পাদক স্থপতি নবী নেওয়াজ খান। অনুষ্ঠানের কো-অরডিনেটর ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সকারী অধ্যাপক সজল চৌধুরী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও চুয়েট-এর স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব অমিত ইমতিয়াজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ‘১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হৃদি দাশ গুপ্তা ও মহসিনা ইসলাম তটিনি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থাপত্য বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে আতœপ্রকাশের অগ্রযাত্রায় আছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মিশনে স্থাপতিদের বড় ভূমিকা রয়েছে। টেকসই ও উন্নত অবকাঠামো গড়ে তোলা, বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া প্রভৃতিক্ষেত্রে স্থপতিদের অগ্রণী ভুমিকায় থাকতে হবে। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি বিশেষ করে এতদ্ অঞ্চলের পাহাড়-নদী-সমুদ্র বিবেচনায় এনে সুন্দর স্থাপত্যশৈলীতে অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন। তিনি বলেন, চুয়েট এর স্থাপত্য বিভাগ একটি সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী বিভাগ। যাত্রার শুরু থেকেই এই বিভাগ সুনাম ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। মাত্র এক দশকের পথচলায় চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ দারুণ সফলতা দেখিয়েছে। স্থাপত্য বিভাগের অ্যালামনাইরাও বিভাগের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। বিষয়টা আমাদের জন্য আশাব্যাঞ্জক।
গেস্ট অব অনার স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ বৈশ্বিক স্থাপত্য শিক্ষা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের স্থাপত্যশিক্ষার সময়কাল পরিবর্তন ও পরিমার্জনের আহ্বান করেন। পাশাপাশি সমাজে স্থাপতিদের আরো অংশগ্রহণ ও অংশিদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
উৎসবের অংশ হিসেবে স্থাপত্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি নবী নেওয়াজ খান।স্থাপত্য উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত ‘স্কেপ স্পে’ বিষয়ে আইডিয়া ডিজাইন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম পুরস্কার লাভ করে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর ছাত্র ফিদ আল মুগনী। দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করে চুয়েটের স্থাপত্য বিবাগের মানতাকা জননুরাইন আদৃত ও তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে কুয়েটের আতিকুর রহমান আতিক।
বিকেলে পিঠা উৎসব, ফানুস উত্তোলন, প্রদীপ সন্ধ্যা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।