জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অত্যন্ত ঘনিষ্ট সদ্য প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক ছিলেন দেশের একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ।
তিনি ১৯৪২ সালের ৪ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলাধীন পূর্বভাগ গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জনগ্রহণ করেন। তার মাতা মরহুমা মেহের চান্দ বিবি ও পিতা মরহুম আলহাজ মোহাম্মদ সুন্দর আলী। তিনি ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া, তিনি আইন বিষয়ে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি দীর্ঘদিন আইন পেশার সাথে যুক্ত ছিলেন ও বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের এডভোকেট হিসেবে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। ১৯৬৫ থেকে ৬৬ সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি নির্বাচিত হন। ১৯৬৬ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষিত ৬ দফায় অনুপ্রাণিত হয়ে তিনি স্বাধীনতা-আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি ভারতের ত্রিপুরায় অবস্থিত লেম্বুছড়া প্রশিক্ষণ ক্যাম্প থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।
স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে দেশের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসন থেকে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর একাধারে ৭ম থেকে ১০ম সংসদ নির্বাচনে একই আসন থেকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। সংসদীয় কাজে তার অভিজ্ঞতা ব্যাপক। ৭ম ও ৯ম সংসদে তিনি খাদ্য ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে বাণিজ্য, অর্থ, সরকারি তহবিল ও বিশেষ বিষয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১০ম জাতীয় সংসদে
নির্বাচিত হবার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেন।
তিনি একজন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি তার নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্ত থেকে নাসিরনগর ডিগ্রি কলেজ, চাতালপাড় ডিগ্রি কলেজ ও চাতালপাড় উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতি হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের উন্নয়নে অবদান রাখেন।
তিনি সরকারি সফরে ভারত, শ্রীলংকা,পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া, কুয়েত, সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য, ইতালি, নেদারল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও এক পুত্রসন্তানের জনক।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। (ইন্নালিল্লাহে…রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর।
সেঞ্চুরী এগ্রো ও ইমপেক্সট্রাকোর উদ্যোগে টেকনিক্যাল সেমিনার অনুষ্ঠিত
খাটো জাতের নারকেল চাষে ঝুঁকছে কৃষকরা
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন