আমের হপার পোকার দমনব্যবস্থা

1357

[su_slider source=”media: 2964,2963″ title=”no” pages=”no”]

এ পোকার আক্রমণ কিভাবে বুঝবেন:

  • গাছের নিচে গেলে এ পোকা এলোপাথাড়িভাবে উড়ে এসে চোখে-মুখে লাগে।
  • এ পোকা লাফিয়ে লাফিয়ে চলে বিধায় কাছে গেলে পাতায় চট চট আওয়াজ হয়।
  • আমের মুকুল শুকিয়ে ঝড়ে পড়তে শুরু করে।

এ পোকা চিনবেন কিভাবে:

  • হপার পোকা দেখতে ছোট অবস্থায় সাদাটে, বয়স্ক অবস্থায় সবুজ-তামাটে রংয়ের হয়।
  • এ পোকা দলবদ্ধভাবে পাতার নিচে বা ডালের নিচে অন্ধকার স্থানে অবস্থান করে।

ক্ষতির ধরন:

  • হপার পোকা আম গাছের কচি পাতা, ডগা, ফুলের বোঁটা ও মুকুলের রস চুষে খায়।
  • মুকুল শুকিয়ে খড়ের রং হয় এবং ঝরে পড়ে।
  • এ পোকা গাছের কান্ড ও পাতার উপড় আঠালো রস (মল) ত্যাগ করে। এতে শুটিমোল্ড রোগের সৃষ্টি হয়। একে স্থানীয়ভাবে মধুঝরা বলে।

দমনব্যবস্থা:

  • ফল সংগ্রহের পরপরই গাছের অপ্রয়োজনীয় ডালপালা কেটে আলো বাতাস প্রবেশের ব্যবস্থা রাখুন।
  • এলাকায় সম্মিলিতভাবে গাছে ধোঁয়া দিয়ে প্রথমিক অবস্থায় হপার পোকা তাড়ানো যায়।
  • কট ১০ ইসি ১০ এমএল প্রতি ১০ লিটার পানিতে অথবা রিপকর্ড ১০ ইসি ১০ মি.লি প্রতি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে গোড়াসহ সম্পূর্ণ গাছে স্প্রে করুন। স্প্রে করার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে পাতা ও ডালের নীচের অংশেও যেন কীটনাশক ভালোভাবে লাগে।
  • উল্লেখিত কীটনাশকের সাথে ২ চা চামচ (১০ গ্রাম) ডায়থেন এম-৪৫ বা ১০ মি.লি টিল্ট ২৫০ ইসি ১০ লিটার পানিতে মিশিয়ে প্রয়োগ করলে শুটিমোল্ড রোগ সফলভাবে দমন করা যায়।

স্প্রে করার সময়:

  • ১ম বার: মুকুল আসার আগে গাছে ভালোভাবে স্প্রে করুন।
  • ২য় বার: মুকুল আসার পর ফুলগুলো অফোটা অবস্থায় স্প্রে করুন।
  • ৩য় বার: আমের গুটি মটর দানার মত হলে স্প্রে করুন।

সূত্র: কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর