কুমিল্লা তিতাসের মাঠে বারি সূর্যমূখী তিশি ও সরিষা চাষে কৃষকরা সফল

590

SAM_4937

‘আর নয় বিদেশী তেল, নিজ দেশেই উৎপাদনকরে খেলে হবে অনেক বল’ স্লোগান নিয়ে কুমিল্লার তিতাসের কলাকান্দিতে বারি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বারি সরিষা-১৪, বারি সূর্য্যমুখী-৩, বারি তিশি (নীলা) এর প্রচারও সম্প্রসারণের লক্ষ্যে কৃষক সমাবেশ ও মাঠ দিবস পালন করা হয়েছে।

শনিবার সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কুমিল্লা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর আয়োজনে বাংলাদেশে তেলবীজ ও ডাল ফসলের গবেষণা এবং উন্নয়ন প্রকল্প এর অর্থায়নে এ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। একই দিনে বুড়িচং পারুয়া ব্লকে বারি বিটি বেগুন-২ এর প্রদর্শনী প্লট পরিদর্শন করা হয়েছে।

মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রাণালয়ের পিপিসি উইং এর অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আবদুর রৌফ, গাজীপুর জয়দেবপুরের বিএআর আই, সগবি এর সিএসও ড. মো. আককাস আলী সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন গাজীপুর জয়দেবপুরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. আব্দুল ওহাব, কুমিল্লা অঞ্চলের ডিএই’র অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. আলী আহম্মদ, গাজীপুর জয়দেবপুরের বিএআরআইয়ের সগবি এর তৈগকে ড. মো. আবদুল লতিফ আকন্দ, কুমিল্লা সগবি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হায়দার হোসেন, কুমিল্লা বারি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. উবায়দুল্লাহ কায়ছার, কুমিল্লা ডিএই’র উপ-পরিচালক কৃষিবিদ সুরজিৎ চন্দ্র দত্ত। কুমিল্লা বারির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ শ্যামল কুমার ভাওয়াল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

প্রতি বছর ২৭ হাজার কোটি টাকার তেল বিদেশ থেকে আমদানী করতে হয়। এতে বিশাল অংকের কাটা আমাদের দেশ থেকে বিদেশে চলে যাচ্ছে। আমদানীকৃত তেলের সাথে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থও যুক্ত থাকার কারণে এসব তেল খেয়ে আমরা নানা প্রকার রোগে ভুগছি। বিজ্ঞানীরা বলেন- প্রতিদিন আমাদেরকে ২০-২২ গ্রাম তেল খেতে হয়, অথচ উৎপাদনের অভাবে আমরা গড়ে খেতে পারছি মাত্র ১০ গ্রামেরও কম। খাবারের সাথে পরিমিত তেল না খেলে মানব দেহে চর্ম রোগ হয়। পরিমিত তেল না খেলে মানুষকে বিভিন্ন প্রকার অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রমণ করে।

বিশেষ করে মানব দেহে ফ্যাটি এসিডের প্রয়োজন হয়। আর এ ফ্যাটি এসিড একমাত্র তেলের মধ্যেই বেশী পরিমাণে থাকে। সার্বিক বিষয় হতে উত্তরনের জন্য এবং তেল জাতীয় ফসল দেশের চাহিদা অনুযায়ী কৃষরা যেন চাষ করে সে লক্ষে এবং কৃষকের লাভজন কৃষি কার্যক্রমের বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) উদ্ভাবন করেছেন উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি সূর্য্যমুখী-৩, বারি তিশি (নীলা), বারি সরিষা-১৭।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২০ফেব্রু২০২০