মাছি পোকা কুমড়া ফসলের জন্য খুব বেশি ক্ষতিকর। সব কুমড়া ফসলের মাছি পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ ব্যবহার করা যায়। এ জন্য এ ফাঁদ স্থাপনের নিয়ম-কানুন জানাটা জরুরি। আসুন জেনে নেই কিভাবে কুমড়ার মাছি পোকা দমন করবেন-
মাছি পোকা:
স্ত্রী মাছি কচি ফলের নিচের দিকে ওভিপজিটর ঢুকিয়ে ডিম পাড়ে। ডিম পাড়ার স্থান থেকে পানির মত তরল পদার্থ বের হয়ে আসে, যা শুকিয়ে বাদামি রং ধারন করে। ডিম থেকে কিড়া বের হয়ে ফলের শাস খেতে শুরু করে এবং ফল বিকৃত হয়ে যায়। অবশেষে হলুদ হয়ে পচে ঝরে যায়।
ফেরোমন ফাঁদ:
এ পোকা দমনে ফেরোমন ফাঁদ খুব ভালো কাজ করে। প্রতি ৪-৫ শতকে একটি ফেরোমন ফাঁদ যথেষ্ঠ। তবে ফেরোমন ফাঁদের পানি নিয়মিত বদলাতে হবে। মৃত পোকা পরিষ্কার করতে হবে। একটি ফেরোমন লিউর ২ মাস কাজ করে। ফেরোমন ফাঁদ গাছের ক্যানপি লেভেল থেকে ১ ফুট উপরে বাঁশের খুঁটি দিয়ে বাঁধতে হবে।
বিষটোপ:
পাকা মিষ্টি কুমড়া বা কুমড়া জাতীয় ফল ১০০ গ্রাম কুচি কুচি করে কাটুন। এরপর এতে সামান্য বিষ মিশিয়ে বিষটোপ তৈরি করুন। শেষে মাটির পাত্রে ক্ষেতের মাঝে স্থাপন করতে পারেন।
অন্য প্রতিকার: ফেরোমন ফাঁদ ছাড়াও অন্য উপায়ে মাছি পোকা দমন করা যায়-
# আক্রান্ত ফল বা ফুল সংগ্রহ করে ধ্বংস করা বা পুড়িয়ে ফেলতে হয়।
# কচি ফল কাগজ বা পলিথিন দিয়ে ঢেকে দেওয়া দরকার।
# আম বা খেজুরের রসে সামান্য বিষ মিশিয়ে বোতলে রেখে জানালা কেটে ক্ষেতের মাঝে স্থাপন করা যায়।
# সাইপারমেথ্রিন গ্রুপের কীটনাশক ১ মিলিলিটার বা লিটার হারে পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করতে পারেন।
# ভালোভাবে জমি চাষ দিয়ে পোকার পুত্তলি পাখিদের খাওয়ার সুযোগ করে দিন।
পরবর্তী করণীয়:
ফাঁদ বা টোপের পর যে বিষয়টি অবশ্যই মনে রাখতে হবে, তা হলো- স্প্রে করার পর ১৫ দিনের মধ্যে সেই সবজি খাওয়া যাবে না। এমনকি বিক্রিও করা যাবে না।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন