চট্টগ্রামে মাঠ পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ অফিস ও ক্যাব যৌথ পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন

351

002

পোল্ট্রি ফিডের বিষয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি ও ভ্রান্ত ধারনায় প্রাণীজ আমিষের যোগানদাতা পোল্ট্রি মাংস ও ডিমের বিষয়ে নেতিবাচক প্রভাবের কারণে সাধারণ জনগনের পুষ্ঠির চাহিদা পুরণে বিগ্ন ঘটছে।

কারন পুষ্ঠির চাহিদার ঘাটতি হলে শারীরিক ও মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। নেতিবাচক, কাল্পনিক সংবাদগুলির অবৈজ্ঞানিক ও তথ্যবিভ্রাট পুরো জাতিকে পূনরায় মেধাশূন্য করার হীন ষডযন্ত্র কিনা তা খতিয়ে দেখা দরকার।

মুরগির ফিড ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে সরেজমিনে পোল্ট্রি উৎপাদনকারী খামারী, মুরগির খাদ্য উৎপাদনকারী, খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষনের জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রাণিসম্পাদ অফিস ও ক্যাব যৌথ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হয়।
ইউকেএইড, বৃটিশ কাউন্সিলের সহায়তায় প্রকাশ প্রকল্পের কারিগরী সহযোগিতায় পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্প, কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন প্রকল্পের উদ্যোগে প্রাণিসম্পদ অফিসের সাথে খুচরা ও মাঠ পর্যায় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কেন্দ্রিয় প্রাণিসম্পদ পরীক্ষাগারে প্রেরণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তারই অংশ হিসাবে বিগত ৩১ জানুয়ারি চট্টগ্রামের ফাতেমা পোল্ট্রি ফিস সেন্টার, জনতা পোল্ট্রি ফিড ও মেডিসিন সেন্টার, মির্জাখিল পোল্ট্রি ফার্ম, মিজান পোল্ট্রি ফার্ম, জামাল ডেইরি ফার্ম সরেজমিনে পরির্দশন করা হয়।

সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে পশুসম্পদ কেন্দ্রিয় পরীক্ষাগারে প্রেরণ করা হয়। পরীক্ষার ফলাফল আবার জনসম্মুখে প্রকাশ করা হবে। পোল্ট্রি ফিডের নমুনা সংগ্রহকালে পরির্দশন টিমের নেতৃত্ব প্রদান করেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জসিম।

এ উপলক্ষে পরিদর্শন টিমে অন্যান্যদের মধ্যে অংশনেন ক্যাব কেন্দ্রিয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এসএম নাজের হোসাইন, উপজেলা পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সৈয়দ মুহাম্মদ ওয়ারেস কামাল, ভেটেরিনারি সার্জন ডা. আবদুল মোমিন, ক্যাব দক্ষিন জেলা সভাপতি আলহাজ আবদুল মান্নান, মহানগর কোষাধ্যক্ষ হাজি আবু তাহেরু, ক্যাব পাঁচলাইশের সেলিম জাহ্ঙ্গীর, ক্যাব আইবিপি প্রকল্পের মাঠ সমন্বয়কারী জগদীশ চন্দ্র রয়, মাঠ কর্মকর্তা জেড এইচ শিহাব প্রমুখ।001

উল্লেখ্য, পোল্ট্রি সেক্টরে সুশাসন নিশ্চিতে খুচরা পোল্ট্রি ফিডের গুণগত মান নিশ্চিত করা, খুচরা বিক্রেতা, ক্ষুদ্র খামারী, ফিড উৎপাদনকারী, বিক্রেতা, ওষুধ উৎপাদনকারী ও বিক্রেতাদের মাঝে নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি, সুপারশপগুলিতে ড্রেসড(প্রক্রিয়াজাতকৃত) মুরগি গুলি মানসম্মত জবাই খানায় প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে কিনা এবং সেখানে নিরাপদ খাদ্যের যাবতীয় অনুসরনীয় বিধানগুলি পুরোপুরি মেনে চলা হচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সুপারশপ ও মুরগি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের পরিবেশিত মুরগির মান সরেজমিনে তদারকি করা, নগরীতে প্রক্রিয়াজাতকৃত মুরগি বিক্রিতে নিয়োজিত সুপারশপে সরবরাহকারী, খামারী, ফিড বিক্রেতাদের প্রাণিসম্পাদ অফিস ও ক্যাব প্রতিনিধি সমন্বয়ে সরেজমিনে পরিদর্শন, নিরাপদ খাদ্য বিষয়ে তৃণমূল পর্যায়ে গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, নগরীর হাট-বাজার, প্রান্তিক খামারী পোল্ট্রি খাদ্য বিক্রেতা, খুচরা মুরগি বিক্রেতা পর্যায়ে আরও সচেতনতামুলক কর্মসুচির আয়োজন করা, খুচরা মুরগি বিক্রিতে স্বাস্থ্যসম্মত মডেল বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপনে উৎসাহিত করা, তৃণমূল পর্যায়ে মুরগি উৎপাদনকারী খামার, মুরগির খাদ্য উৎপাদনকারী, খুচরা মুরগি বিক্রেতাদের কর্মকান্ড পর্যবেক্ষনের জন্য মাঠ পর্যায়ে প্রাণী সম্পাদ অফিস ও ক্যাব যৌথ পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করা, পোল্ট্রি সেক্টরে নিরাপদ খোদ্য নিশ্চিত করতে জেলা প্রশাসন, জেলা প্রাণী সম্পদ অফিস ও বিএসটিআই এর ভ্রাম্যমান আদালত, জাতীয় ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের বাজার তদারকি আরও জোরদারসহ নানা বিধ কর্মকান্ড পরিচালনা করা হচ্ছে। ক্যাব ও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের উদ্যোগে ইতিপূর্বে ০২টি পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের নুমনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়। সেখানে কোন ধরনের ক্ষতিকর, বিষাক্ত ও মানবদেহের জন্য ক্ষতিকারক কোন ক্যামিকেল পাওয়া যায়নি।