তথ্য প্রযুক্তি খাতের পরবর্তী গন্তব্য বাংলাদেশ: পলক

306

1010

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি বলেছেন, “তথ্য-প্রযুক্তি খাতের পরবর্তী গন্তব্য বাংলাদেশ। কারণ আমাদের আছে বিপুল তরুণ শক্তি। আর এই তরুণরা খুব সম্ভাবনাময়, পরিশ্রমী। তাদের উদ্ভাবনী শক্তিও অনেক। আমরা মেধাভিত্তিক অর্থনীতির ওপর ভিত্তি করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই।”

শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এর তড়িৎ ও কম্পিউটার কৌশল(ইসিই) অনুষদ-এর ‘‘ 2nd International Conference on Electrical, Computer and Communication Engineering (ECCE 2019)’’ শীর্ষক আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

পর্যটন নগরী কক্সবাজারের হোটেল লং বিচ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় দ্বিতীয়বারের মত আয়োজিত তিনদিনব্যাপী এই আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সের সমাপনী অনুষ্ঠান।

এতে সভাপতিত্ব করেন কনফারেন্সের টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান এবং চুয়েটের সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহম্মদ মশিউল হক।

বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম এবং আইইইই বাংলাদেশ সেকশান এর চেয়ার অধ্যাপক ড. সেলিয়া শাহনাজ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন কনফারেন্সের টেকনিক্যাল কমিটির সেক্রেটারি এবং চুয়েটের ইটিই বিভাগের শিক্ষক ড. মো. আজাদ হোসাইন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জাপানের সাইতামা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. ইয়োশোনারি কুনো এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উলসান ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. কাংইয়োন জো। স্পন্সর প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষে বক্তব্য রাখেন বিটিসিএল-এর জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী খান আতাউর রহমান সান্টু।

1111

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, এমপি আরো বলেন, “আইসিটিভিত্তিক যে কোন প্রোডাক্ট বা উদ্ভাবনকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যেতে সচেষ্ট। আমরা আইসিটি ইকো-সিস্টেম গড়ে তুলবো। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আমরা বিশ্বমানের ল্যাব সেটআপ গড়ে তুলবো। বিশ্বমানের ট্যালেন্ট তৈরি করবো। আমরা একটি ‘ভারচুয়াল ইউনিভার্সিটি অব মাল্টিমিডিয়া এন্ড ইনোভেশন’ নামে বিশ্বমানের একটি ভার্চুয়াল বিশ্ববিদ্যালয় গড়বো, যার কোন ফিজিক্যাল ক্যাম্পাস থাকবে না, ডিজিটালি সব পরিচালিত হবে এখানে।”

বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের মাননীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান বলেন, “তথ্য-প্রযুক্তিখাতকে বাংলাদেশ সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে সফলতার সাথে এগিয়ে যাচ্ছে। গত ১০ বছরে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। সফলতার স্টোরিগুলো ক্রমেই বাড়ছে। এসবের পেছনে আইসিটি খাত অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করছে। এখন ট্রাফিক জ্যামে বসেই দেশে-বিদেশে যোগাযোগ করা যায়, দাপ্তরিক অনেক কাজ করা যায়। আগামী দিনে এই সাফল্য আরো বিপুল বিস্তৃতি এ বিশ্বাস এখন সকলের।”

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “তথ্য-প্রযুক্তি বিষয়ে চুয়েট নানা অগ্রগতি লাভ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় চুয়েটে নির্মিত হচ্ছে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের প্রথম আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। এ ধরনের গৌরবময় কনফারেন্স আয়োজন চুয়েটের পাশাপাশি দেশের ইমেজও বৃাদ্ধ করতে পারে বলে আমরা আশাবাদী।”

সমাপনী অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন চুয়েটের ইইই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রকি বৈদ্য ও সিএসই বিভাগের প্রভাষক ফারজানা ইয়াসমিন। এই আর্ন্তজাতিক কনফারেন্সে বাংলাদেশসহ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নেপাল, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, সোমালিয়া থেকে ইলেকট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক, কম্পিউটার সায়েন্স, টেলিকমিউনিকেশন প্রভৃতি বিষয়ে শীর্ষস্থানীয় একাডেমিশিয়ান, সায়িন্টিস্ট, রিসার্চার, স্কলারস, ডিসিশন মেকার্সরা অংশ নেন।

প্রসঙ্গত, এই কনফারেন্সে ৮১২টি প্রবন্ধ জমা পড়ে। যা দেশের যে কোন কনফারেন্সের জন্য সর্বোচ্চ। এতে রেজিস্ট্রার্ড অংশগ্রহনকারী ছিলেন ২৭০জন।

এই কনফারেন্সে স্পন্সর হিসেবে ছিল wQj UGC, AKS, DPDC,DESCO,RE,SEPERSIGN CABLES, Synesid IT,BTCL, RPCL। টেকনিক্যাল কো-স্পন্সর: IEEE Bangladesh Section এবং উপস্থাপিত প্রবন্ধগুলো IEEE Xplore Disital সংগ্রহশালায় পাওয়া যাবে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন