দেশে মাংসের ঘাটতি পূরণে নতুন সংযোজন হচ্ছে ব্রাহমা জাতের গরু

992

ব্রাহমা জাতের গরু

দেশে মাংসের ঘাটতি পূরণে নতুন সংযোজন হচ্ছে ব্রাহমা জাতের গরু। দৈনিক এর শরীরে মাংস বাড়বে ৯শ গ্রাম থেকে ১ হাজার গ্রাম। প্রতি মাসে মাংস উৎপাদন হবে ২৭ থেকে ৩০ কেজি। আট-দশ বছর বয়সের দেশীয় গরুর মাংস উৎপাদন ক্ষমতা মাত্র আড়াইশ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ কেজি পর্যন্ত হয়। তবে মাত্র ২৪ মাস বয়সেই এ জাতের গরু ৭৩০ থেকে সর্বোচ্চ ১ হাজার কেজি বা এক টন মাংস উৎপাদন করতে সক্ষম হবে। বর্তমানে বিফ ক্যাটল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন আছে। অচিরেই সারা দেশে এর বাণিজ্যিক কার্যক্রমও শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

ব্রাহমা ক্রসের আদি জাত ভারতীয় উপমহাদেশের। তাই বাংলাদেশের আবহাওয়ায়ও এ গরু সুস্থ ও সবলভাবে বেড়ে উঠতে সক্ষম। ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতায় গরুর উৎপাদনে দারুণ সাফল্য পাওয়া গেছে। এ জাতের গরু নিয়ে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে এর সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশে বিদ্যমান মাংসের ঘাটতি দুই থেকে তিন বছরের মধ্যেই মেটানো সম্ভব। এ কার্যক্রম আরও বিস্তৃত করার মধ্যদিয়ে আগামী ৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ উদ্বৃত্ত মাংস রফতানি করে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ও করতে পারবে। দেশে মাংস উৎপাদনকারী কোনো জাত আবিষ্কার এটিই প্রথম। শুধু মাংস উৎপাদনকারী গরুর ভিন্ন জাত থাকতে পারে এ ধারণা আগে কারও জানা ছিল না। সূত্র: ইউএলও কুলিয়ারচর