সেখ জিয়াউর রহমান, রংপুর থেকে: ‘আমি যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে’। কবির সকাল হতে দেরি হয়নি। তেমনি সকালের প্রত্যাশার আগমন বিলম্ব হয়নি শারমিন আক্তার শোভার। সফল এই নারী উদ্যোক্তা অক্লান্ত শ্রম সমাজের কুসংস্কারকে ভেঙে সার্বিক তত্ত্বাবধায়নে সকাল জেগে পূর্বাকাশে রবির আলো ফুটিয়েছেন ১০৭টি নারী পরিবারের।
ঘুরতে শুরু করেছে অসহায়, বিধবা, নারীদের পরিবারভিত্তিক অর্থনীতির চাকা। এখন আর রংপুর সদর, বেতার পাড়ার নারীদের স্বামীর কাছে অর্থের জন্য হাত বাড়াতে হয় না।
এখন শারমিন আক্তার শোভার দলের নারীরা হস্তশিল্পের প্রশিক্ষণ পেয়ে নিজেদের মেধা-শ্রম ব্যবহার করে নিজেদের বাড়িতে বসে সাংসারিক কাজের পাশাপাশি বাহারি রঙের মানসম্মত হাতের কাজের শাড়ি, থ্রি-পিস, টু-পিস, ওয়ান-পিস, নজর কাড়া নকঁশী কাঁথা, নকঁশী বিছানার চাদর, কুশন কভার/ম্যাট, ওয়াল ম্যাট, ওড়না, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টাওয়াল, সুতির আর্কষণীয় পর্দা ও শত রকমের পুঁতির তৈরি সামগ্রী।
হস্তশিল্পকর্মী লাইলী বেগম বলেন, “স্বামীকে যৌতুকের টাকা দিতে না পেরে আমার সংসার ভেঙেছে। এখন শোভা আপার কাছে সুই-সুতার কাজ করে প্রতি মাসে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আয় করছি।
আরেক নারীকর্মী কাটিংমাস্টার হাছিনা বেগম বলেন, সংসারের কাজ কর আর্থিকভাবে আমরা স্বচ্ছল হচ্ছি এবং ছেলেমেয়েকে স্কুলে পাঠাতে পারছি।
নারী উদ্যোক্তা শারমিন আক্তার শোভা বলন, সমাজের অর্ধেক নারী অর্ধেক পুরুষ। কেবল নারী অথবা পুরুষ অর্ধেক অংশ পরিবার দেশ উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। সত্যিকারে পরিবার দেশ উন্নয়ন করতে হলে নারী পুরুষকে উভয়কে নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
জন্মের পর থেকে মা মোছা. আমেনা বেগম মহিলা পল্লী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন নিয়ে দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন গ্রামীণ অসহায় মহিলাদের ভাগ্য উন্নয়নে। তার মায়ের স্বপ্ন গ্রামের নারীরা অর্থনৈতিকভাবে মুক্তি লাভ করবে। মার সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে গিয়ে উরাকের পাশাপাশি ২০১৪ সালে পাঁচজন বিধবা নারীকে নিয়ে গঠন করি শোভা হ্যান্ডিক্র্যাফ্ট। শোভার দলে বর্তমান ১০৭ জন নারী কর্মীকে নিয়ে কাজ করছি।
আরো পড়ুন:
- ফলদ বৃক্ষের চারা রোপণ কৌশল ও ব্যবস্থাপনা
- তারাগঞ্জে জিংকসমৃদ্ধ ধান ব্রি-৭৪ কর্তনের ওপর কৃষক মাঠদিবস
- নাচোলে আইএফএমসি কৃষক স্কুলের মাঠদিবস
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম