পশুকে কৃমির আক্রমণ থেকে বাঁচানোর উপায় (পর্ব-১)

437

image_269822.cows-india-diwali_48268_990x742

গরু বলেন আর ছাগল বলেন শরীরে ভিতরে লাখে লাখে ঝাঁকে ঝাঁকে কৃমি থাকলে সেই গরুকে দিয়ে আর কিচ্ছুই হবে না। না দিবে দুধ না হবে মাংস।আর আপনার সব শ্রম যাবে বৃথা।তাই গরুকে কৃমি মুক্ত রাখতে পারলেই এসব ঝামেলা শেষ। আপনি হবেন সফল।

একেকটা কৃমি একেক ভাবে পশুকে ঘায়েল করে। প্রথমে বলি গোল কৃমির কাণ্ড কারখানা। এই কৃমিগুলো পেটের অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়ায়; এমন কি ফুসফুসে পর্যন্ত বাসা বাঁধতে পারে।

বাচ্চা বয়সে এই কৃমির বাচ্চাগুলো (Larvae) ঘাস বা মাটির মধ্যে ঘাপটি মেরে বসে থাকে। যার যখনি পশু ওই ঘাস খায় অমনি কৃমির বাচ্চা পেটের ভিতর ঢুকে যায়। এই বাচ্চাগুলো পেটের মধ্যে রাজার হালে খেয়ে দেয় বড় হয়ে বিয়ে সাদি সংসার শুরু করে। আর স্ত্রী কৃমিগুলো ডিম পাড়া শুরু করে। এই ডিমগুলো পশুর পায়খানা মাধ্যমে গোবরের সাথে মিশে পশুর শরীরে বাইরে চলে আসে।

কয়েকদিনের মধ্যে ডিম ফুটে বাচ্চা বের হতে থাকে।আর গায়ে গোতরে বড় হতে থাকে অন্য পশুর পেটে ঢুকার জন্য। ডিম থেকে ফুটে বাচ্চা হওয়া পর্যন্ত সময়টা গরম কালে কয়েকদিন হলেও শীত কালে কিন্তু কয়েক সপ্তাহও লাগতে পারে। এই লার্ভা দ্বারা আক্রান্ত ঘাস বলেন আর মাটি বলেন অথবা অন্য খাবার বলেন খেলেই এই কৃমি দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার সমূহ সম্ভবনা থাকে।

এই কৃমি প্রতিরোধের জন্য এখন বাজারে অনেক ধরনের কৃমি নাশক পাওয়া যায়।সাধারন বসন্তের আগে এবং শরতের শুরুতে কৃমি নাশক প্রয়োগ করলে এই কৃমিকে আটকানো যাবে। কারণ এই সময় ওষুধ প্রয়োগ করলে প্রাপ্ত বয়স্ত কৃমিগুলো মারা যারা এবং বাচ্চা কৃমিগুলোও আর বড় হতে পারবে। আর আপনার পশু থাকবে নিরাপদ।

লেখক: ডা. সুচয়ন চৌধুরী, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (অ.দা.) রাঙ্গামাটি সদর, রাঙ্গামাটি।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম