পালংশাকের গুণগুণ

500
আজ থেকে প্রায় দুই হাজার বছর আগে প্রাচীন পার্সিয়ায় জন্ম হয়েছিল পালংশাকের। তথ্য সে রকমই বলছে। এরপর এটি ছড়িয়ে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রাচীন জনপদে।
পালংশাকের আর এক নাম পার্সিয়ান সবজি। ৬৪৭ সালের দিকে এটি ‘পার্সিয়ান সবজি’ নামে ছড়িয়ে পড়ে ভারত এবং প্রাচীন চীনে নেপালের মাধ্যমে। মূলত সিল্ক রোড ধরেই ছড়িয়ে পড়ে এটি।
সেই থেকে মানুষ এটি খেয়েই চলেছে পনির দিয়ে, আলু দিয়ে, মাছ দিয়ে, মাংস দিয়ে কিংবা এমনি এমনি। আর ইদানীং পালংশাকের জুসও খাওয়া হচ্ছে স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য। কিন্তু একবারও কি ভেবে দেখেছেন, সুদীর্ঘকাল ধরে কেন পালংশাক খেয়েই চলেছে? কারণ, এর মধ্যে রয়েছে এমন কিছু গুণ, যেগুলো মানুষকে পৃথিবীতে টিকে থাকতে সাহায্য করে চলেছে।
পালংশাকের ৫টি গুণ
১. হাড় মজবুত ও গঠন: পালংশাক ভিটামিন কে–এর বড় উৎস। এই ভিটামিন অস্টিওক্যালক নামের একটি প্রোটিন উৎপাদন করে থাকে। অস্টিওক্যালক হাড়ে ক্যালসিয়ামকে স্থিতিশীল রাখে। এ ছাড়া পালংশাকে রয়েছে ভিটামিন ডি, ভিটামিন সি, আঁশ, পটাশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়াম। এসবই হাড়ের গঠন ও মজবুত করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয়।
২. দৃষ্টিশক্তি এবং রোগপ্রতিরোধ বাড়ানো: পালংশাকে থাকা জেক্সানথিন, লুটিন ও ক্লোরোফিল মানুষের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায় এবং রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
৩. ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া: পালংশাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন এ। এটি মানুষের ত্বক ও শ্লেষ্মা ঝিল্লি থেকে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে সহায়তা করে। এ ছাড়া ভিটামিন এ সিবাম উৎপন্ন করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিবাম চুলের আর্দ্রতা ধরে রাখে।
৪. ভিটামিন সি–এর বড় ক্ষেত্র: পালংশাকে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। বলা হয়ে থাকে, এটি ভিটামিন সি–এর বড় আধার। ভিটামিন সি আমাদের শরীরে কী করে, তার বিস্তারিত বিবরণ মনে হয় প্রয়োজন নেই। তারপরও বলে রাখি, ভিটামিন সি মানুষের চোখের রোগ এবং কপালের বলিরেখা দূর করতে পারে, প্রসবপূর্ব সময়ে মায়েদের স্বাস্থ্যের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া ভিটামিন সি কার্ডিওভাসকুলার রোগ দূর করতে সক্ষম। ভিটামিন সি-তে লুটিন থাকে। এটি ধমনির গা মোটা হওয়া ঠেকিয়ে মানুষের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়।
৫. তরতাজা করে: পালংশাকে থাকে ম্যাগনেশিয়াম। এটি শরীরের শক্তি উৎপাদনে সহায়তা করে। ফলে নিয়মিত পালংশাক খেলে তরতাজা থাকা যায়।
সূত্র: প্রথম আলো।
ফার্মসএন্ডফার্মার/৩১ডিসেম্বর২০২০