বন্যাকালীন মৎস্য খামারে করণীয়
# বন্যার পূর্বেই খামারের চারপাশে পলিস্টার জাল ও বানা দিয়ে ভালোভাবে বেড়া দিতে হবে।
# বিক্রি উপযুক্ত মাছ যথাসম্ভব ধরে বিক্রি করার ব্যবস্থা নিতে হবে।
# বন্যার সময় মাছকে নিয়মিত খাবার দিতে হবে।
# বন্যার পানির রোগ জীবাণু প্রতিরোধে শতাংশ প্রতি ৩০০ গ্রাম হারে জিওলাইট এবং মাছের প্রতি কেজি খাবারের সাথে ০.৫০ গ্রাম রেনামাইসিন ০৭ দিন ধরে দিতে হবে।
# বন্যার পানি যদি বেশি হয়, তবে দ্বিগুণ প্রস্থের জাল দ্বারা বেড়া দিতে হবে।
# বন্যার পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হলে, বস্তায় খাবার ভরে খুটি সাথে ১-২ ফুট পানির নিচে মাঝে মাঝে খাবার স্থাপন করতে হবে। তাহলে খাবারের লোভে খামারের তো যাবেই না বরং বাহির হতে মাছ খামারে প্রবেশ করবে।
বন্যা পরবর্তী মৎস্য খামারে করণীয়
# বন্যা চলে যাবার সাথে সাথে খামারে শতাংশ প্রতি ০.৫ কেজি চুন এবং ২৫০ গ্রাম হারে জিওলাইট প্রয়োগ করে পানি শোধন করতে হবে।
# জাল টেনে মাছের স্বাস্থ্য ও মজুদের পরিমান যাচাই করতে হবে।
# মজুদের পরিমান কম হলে পুন:মজুদ নিশ্চিত করতে হবে।
# খামারে রাক্ষুসে মাছ প্রবেশ করলে তা যথা সম্ভব দ্রুত অপসারণ করতে হবে।
সূত্র: কৃষি তথ্য সার্ভিস, আঞ্চলিক অফিস, সিলেট।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/এম