বরগুনা জেলায় এ বছর সুপারির ব্যাপক ফলন দিয়েছে। স্থানীয় মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ভালো ফলন হয়েছে বলে কৃষি বিভাগ জানিয়েছে।
জেলায় ৬টি উপজেলার বিভিন্ন বাড়ির আঙ্গিনা ও স্বল্প সংখ্যক পরিকল্পিত বাগান মিলিয়ে প্রায় ১ শ হেক্টর জমিতে সুপারি গাছ রয়েছে।
বাগান মালিকরা জানান, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সুপারি গাছে ফুল আসে। কার্তিক-অগ্রাহায়ণ মাসে সুপারি পেকে যায়। আশ্বিন মাসের শেষদিকে বাজারে সুপারি আসতে শুরু করে। মূলত কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসই সুপারির ভরা মৌসুম। স্থানীয় ব্যবসায়িরা সুপারি কিনে ৬০ শতাংশ সুপারি পানি ভর্তি পাত্রে ভিজিয়ে সংরক্ষন করেন। ৪০ শতাংশ সুপারি রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ ও দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ করা হয়।
জেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়িরা এসে তাদের চাহিদামত স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে সুপারি কিনে নিচ্ছেন। এসব বাজারে ১ কুড়ি সুপারি (২২০টি) মান ভেদে ২২৫ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী গুলিশাখালীর শাহআলম মিয়া বলেন, এ বছর সুপারির ভাল ফলনের কারণে গত বছরের তুলনায় দাম কম যাচ্ছে।
জেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সিএম রেজাউল করিম জানান, গৃহস্থ ও বাগান মালিকরা ঠিক সময়ে ঠিক পরিচর্যা করায় অল্প পরিমাণ জমিতে হলেও সুপারির ব্যাপক ফলন পেয়েছে।
ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ