বড় মাছের খাবার পদ্ধতি

1388

যেসব পুকুরে ছোট সাইজের মাছ,বিশেষ করে ছোট বাটা-স্বরপুটি থাকে সেসব পুকুরে মাছ ধরা কতটা বিরক্তিকর তা আমরা সবাই জানি।
বাটা-পুটির জ্বালায় বড় মাছ টোপ খাওয়ার সুযোগই পায় না। তো যাদের পুকুরে এমন ছোট মাছ আছে আজকের এই ট্রিকটা তাদের জন্য।
.
ছোট মাছ এড়ানোর জন্য যেটা বানাতে হবে সেটাকে চুবানি বলা যায়।এটা তৈরী একদম সিম্পল।
এটা তৈরীর জন্য যতটুকু ইচ্ছে বা সম্ভব ততটুকু ভাত নিন।টাটকা ভাত একরাত ভিজিয়ে রাখুন।একরাত পরে পানি নিংড়ে ফেলে দিন আর ভেজা-বাসি ভাত এমন কোন পাত্রে নিন যাতে এটা নাড়তে পারেন।প্রতিদিন যতক্ষণ সম্ভব নাড়ুন শক্ত কাঠি দিয়ে।
ভাত পঁচে আঠালো থকথকে হয়ে এলে আপনার চুবানি প্রস্তুত।এটা ঠিক চুবানি না।এটার নাম কি আমি ঠিক জানি না।তবে আমার এলাকায় অভিজ্ঞরা অনেক আগে থেকে ব্যবহার করেন এটা।
.
মজার বিষয় হলো এটা ব্যবহার করলে পিঁপড়ের ডিম ছাড়াই মাছ ধরা যায়।রুই-কাতলা-মৃগেল-কার্ফু সব মাছ খায় এটাতে।
এটা ব্যবহারও সহজ।বড়শীতে টোও গাঁথুন,এটাতে চুবিয়ে রাখুন ৩-৫সেকেন্ড,তারপর পয়েন্টে ফেলুন।এটা থেকে পঁচা-টক একটা গন্ধ আসবে।এমন গন্ধ না আসলে বুঝবেন ভাতটা আরো কয়েকদিন পঁচাতে হবে।
.
টোপের বিষয়টাও বলে দিই।অভিজ্ঞরা জানেন যে টোপ-চার এর কম্বিনেশন ঠিক রাখলে মাছ তুলনামূলক ভাবে বেশি টোপ খায়।এটার জন্যও তেমন একটা নির্দিষ্ট টোপ ব্যবহার করা হয়।
এই টোপ বানানোও সহজ।টোপটা বিশেষ কিছু না।
৫টাকা দামের ১প্যাকেট এনার্জি বিস্কুট আর ২টা ৫টাকা দামের রুটি নিয়ে ভালো ভাবে গুড়ো করে মেশান।চাইলে অনুপাত ঠিক রেখে কম-বেশী বানাতে পারেন।পানি দিয়ে খামির করুন,বড়শিতে গাঁথুন,ভাত পঁচায় চোবান,পয়েন্টে ফেলুন।
ব্যাস….
পয়েন্টে পুটি-বাটা বাদে বড় যাই আসুক টোপ নেবে।
.
এটা আমি ব্যবহার করি।আপনাদের ভালো লাগলে ব্যবহার করে দেখতে পারেন,নয়তো এড়িয়ে যাবেন☺।
(নোট:অনেকে ছোট মাছ তাড়াতে বাংলা মদ ব্যবহার করেন।মদের উৎকট গন্ধ যেমন অসহ্যকর তেমনই এটার ব্যবহার দৃষ্টিকটুও বটে।আর মদ সংগ্রহ সবার পক্ষে সম্ভব না।তাই এই সহজ পদ্ধতি
এক ঢিলে দুই পাখি মারা….ছোট মাছ জ্বালাবে না আর পিঁপড়ের ডিমের ঘাটতি অনেকটা পূরণ হবে।)

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ২৪ এপ্রিল ২০২১