বড় মুরগির সরকারি রাণীক্ষেতের ভ্যাকসিন গুলানোর নিয়ম,দেয়ার পরিমাণ,দেয়ার নিয়ম ও দামসহ বিস্তারিত

600

মোরগ-মুরগির সংক্রামক রোগগুলোর মধ্যে রাণীক্ষেত রোগ বা নিউক্যাসেল ডিজিজ (Newcastle Disease) একটি মারাত্মক ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগ। এ রোগের জীবাণু আক্রান্ত মোরগ-মুরগির শ্বাসতন্ত্র, পরিপাকতন্ত্র ও সণায়ুতন্ত্র আক্রান্ত করে বৈশিষ্ট্যপূর্ণ লক্ষণ প্রকাশ করে। পরিপাকতন্ত্র আক্রান্ত্রের ফলে মোরগ-মুরগি সাদা চুনের ন্যায় অথবা সবুজ বর্ণের পাতলা মল ত্যাগ করে এবং স্নায়ুতন্ত্র আক্রমনের ফলে মোরগ-মুরগির ঘাড় বাঁকা হয়ে যায়। এ রোগের সুপ্তিকাল ৩-৬ দিন।

মাষ্টার সীডঃ মুক্তেসর এম (M) ষ্ট্রেইন
অরিজিনঃ Food and Agricultural Organization (FAO)
ব্যবহার বিধিঃ

প্রতি ভায়ালে ০.৩ এম এল টিকা হিমশুস্ক অবস্থায় থাকে। প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা থাকে।
টিকার মিশ্রণ তৈরীর জন্য জীবাণুমুক্ত ও পরিস্কার ঢাকনাযুক্ত পাত্র, সিরিঞ্জ নিডিল পরিস্রুত পানি প্রয়োজন। প্রথমে পাত্রে ১০০ এম এল পরিস্রুত পানি মেপে নিতে হবে। তারপর সিরিঞ্জের সাহায্যে ১০০ এম এল থেকে কিছু পরিস্রুত পানি ভায়ালে ঢুকিয়ে নিতে হবে। টিকা পুরোপুরি গুলানোর জন্য শিশিটি আস্তে আস্তে নাড়তে হবে। টিকা পুরোপুরি গুলে গেলে উক্ত মিশ্রণ পাত্রের অবশিষ্ট্য পরিশ্র্রুত পানির সঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণ যাতে ভালভাবে হয় সে জন্য ঢাকনা আটকিয়ে পত্রাটিকে ভালভাবে ঝাঁকিয়ে নিতে হবে। পাত্র থেকে মিশ্রণ নিয়ে সিরিঞ্জটি ভরে নিতে হবে। টিকা প্রয়োগের জন্য পাখির পায়ের মাংসল জায়গা থেকে পালকগুলি সরিয়ে নিডিল ধীরে ধীরে মাংসে ঢুকাতে হবে। এরপর ঠিক ১ এম এল টিকা মাংসে ঢুকাতে হবে। টিকার মাত্রা যাতে ঠিক হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
২ মাস বা ততোধিক বয়স্ক মুরগিকে এই টিকা দিতে হবে। এই টিকার প্রতিরোধ ক্ষমতা ৬ মাস স্থায়ী হয়। তাই ৬ মাস অন্তর অন্তর এই টিকা প্রয়োগ করতে হয়।
টিকা দেওয়ার সময় যদি কোন মোরগ-মুরগি ককসিডিওসিস, এসপারজিলোসিস, গামবোরো, কৃমি বা অপুষ্টিজনিত রোগে আক্রান্ত থাকে তাহলে রোগ থেকে আরোগ্য লাভের পুনরায় রাণীক্ষেত রোগের টিকা প্রদান করতে হয়। কারণ উপরোক্ত রোগ সমূহে আক্রান্ত হওয়ার ফলে মোরগ-মুরগির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
সুস্থ মোরগ-মুরগিকেই এই টিকা দিতে হবে। কোন অসুস্থ মোরগ-মুরগিকে টিকা দেওয়া যাবে না। তবে, খামারে রাণীক্ষেত রোগ দেখা দিলে আক্রান্ত মোরগ-মুরগি আলাদা করে ফেলতে হবে। যে সমস্ত মোরগ-মুরগির রাণীক্ষেত রোগ দেখা দেয়নি সেগুলিকে নিয়ম মাফিক টিকা দিতে হবে। অসুস্থ মুরগির সংস্পর্শে আসা সুস্থ মুরগির দেহে জীবাণু লুকিয়ে থাকার ফলে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরও এরা আক্রান্ত হতে পারে। তবে যে সব মোরগ-মুরগির দেহে জীবাণু নেই তাদের ক্ষেত্রে টিকা প্রদানের ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে।
সাধারণ টিকা প্রদানের ১ সপ্তাহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মে।
সরবরাহ : প্রতি ভায়ালে ১০০ মাত্রা টিকা।
মূল্য : প্রতি ভায়াল ১৫ টাকা।

সূত্র: সোনালি কৃষি

ফার্মসএন্ডফার্মার/২১সেপ্টেম্বর২০