মরিচ একটি অর্থকরী ফসল।দিনদিন এর চাষে কৃষকের আগ্রহ বাড়ছে। বছরের অধিকাংশ সময়েই মরিচের বাজারমূল্য ভালো থাকে। তাই এটি চাষের কারিগরী বিষয়গুলো সংশ্লিষ্ট সকলের হাতের নাগালে থাকা প্রয়োজন।
রোগের নামঃ- ব্যাকটেরিয়া জনিত ফল পঁচা (Bacterial soft rot of Fruit)
রোগের কারণঃ আরউইনিয়া ক্যারাটোভোরা সাবস্পেসিস ক্যারাটোভোরা (Erwinia carotovora subsp. carotovora) নামক ব্যাকটেরিয়া।
রোগের বিস্তারঃ-
গরম ও আর্দ্র আবহাওয়া, বৃষ্টির ছটা, পোকা ও উদ্ভিদের রোগাক্রান্ত অংশের মাধ্যমে ছড়ায়।
রোগের লক্ষণ:-
কান্ডের নিকট থেকে প্রথমে ছোট নরম পঁচা দাগের সৃষ্টি হয়।
ফলে কোন কারণে পোকা বা পাখির আক্রমনে কোন ক্ষত সৃষ্টি হলে সেখানে জীবানুর আক্রমন হয়।
এই নরম পঁচা দাগগুলি খুব দ্রুত ফলে আক্রমন করে।
ফলের ভিতরের অংশ খুব নরম মনে হয়।
আক্রমনের কিছু দিনের মধ্য পানি ভেজা দাগ দেখা যায়। পরে সম্পূর্ন ফল পচে যায়।
ফলকে দেখতে পানিতে ভর্তি থলের মতে দেখা যায়।
ফলের ত্বক ফেটে পানি ফলের ভিতর হতে বের হয়ে গেলে ফল শুকিয়ে যায়।
রোগের প্রতিকারঃ↔
সুস্থ ও রোগ মুক্ত গাছ হতে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।
আক্রান্ত লতা-পাতা সংগ্রহ করে পুড়ে ফেলতে হবে।
শস্য পর্যায় অবলম্বন করতে হবে।
এক লিটার পানির মধ্যে ৩ গ্রাম কপার অক্সিক্লোরাইড মিশিয়ে বীজ শোধন করতে হবে।
যেহেতু ইহা মরিচ সংগ্রহের পরে এই রোগে বেশি হয়। সেহেতু অতি যত্ন সহকারে বীজ সংগ্রহ করতে হবে যাতে মরিচে কোন ক্ষতি না থাকে।
পাখির আক্রমন হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য জমিতে মাঝে মাঝে খুটি পুতিয়ে তার সাথে কালে রং এর নাইলন (ক্যাসেটের ফিতা) বেধে রাখতে হবে। এতে পাখির বিচরন কম হবে।
জমিতে পোকার আক্রমন হতে রক্ষা পাবার জন্য কীট নাশক স্প্রে করতে হবে।
প্রাথমিক অবস্থায় ১ লিটার পানির মধ্যে কপার অক্সিক্লোরাইড ৫ গ্রাম মিশিয়ে ৭-১০ দিন পর পর গাছে স্প্রে করতে হবে।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১১জুলাই২০