মুরগির চোখে ইনফেকশন এবং প্রদাহজনিত সমস্যায় ঘরোয়া চিকিৎসা

423

মুরগির চোখে ইনফেকশন এবং প্রদাহজনিত সমস্যায় করণীয় কি সে বিষয়ে আমাদের অনেকেরই তেমন কোন ধারণা নেই। আমাদের দেশে ডিম ও মাংসের চাহিদা পূরণে মুরগি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। মুরগি পালনের সময় বেশ কিছু রোগ দেখা দিতে পারে। এগুলোর মধ্যে মুরগির চোখের ইনফেকশন এবং প্রদাহজনিত সমস্যা অন্যতম। আজকের লেখায় আমরা জেনে নিব মুরগির চোখে ইনফেকশন এবং প্রদাহজনিত সমস্যায় করণীয় সম্পর্কে-

মুরগির চোখে ইনফেকশন এবং প্রদাহজনিত সমস্যায় করণীয়ঃ
মুরগি পালনের সময় চোখে ইনফেকশন এবং প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিচে এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হল-

১। এই সমস্যা দেখা মাত্র প্রথমেই নিম পাতা সিদ্ধ পানি দিয়ে মুরগির চোখ হালকা করে ধুয়ে দিতে হবে। পানিতে হাত ভিজিয়ে একটু দূর থেকে হালকা করে পানিটা চোখে ছিটিয়ে দিতে হবে। এভাবে দিনে ৩ থেকে ৫ বার দিতে হবে।

দিনের বেলা একটা পাত্রে গোসলের জন্য নিম পাতা সিদ্ধ পানি দিতে হবে। মুরগি নিজে থেকে গোসল করলে এমনিতে চোখ ধুয়ে যাবে। আঘাতজনিত কারণে চোখে ইনফেকশন হলে নিম পাতা সিদ্ধ পানি ব্যবহারের পর হালকা করে এক টুকরা এল ভেরা জেল ক্ষতস্থানে লাগিয়ে দিতে হবে দিনে ৩ বার পর পর ৩ দিন।

নিমের দ্রবনঃ ১৫ টি দেশী নিম পাতা ভালো করে ধুয়ে ১ লিটার পরিমাণ ফুটন্ত গরম পানিতে ছেড়ে দিন। এর পরে পাত্রটি ঢাকনি দিয়ে ঢেকে ১৫-২০ মিনিট ধরেহালকা আঁচে সিদ্ধ করুন। পানির রঙ হালকা সবুজাভ বাদামী হলে পাত্রটি চুলা থেকে নামিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢাকা অবস্থায় ঠাণ্ডা হতে দিন।

২। ইনফেকশন বেশি গুরুতর হলে, চোখ বেশি ফুলে গিয়ে থাকলে, চোখ থেকে বেশি পানি পড়লে ব্র্যাগ আপেল সাইডার ভিনেগার পানিতে মিশিয়ে খাওয়াতে হবে। এতে করে ভেতর থেকে ইনফেকশন দ্রুত শর্তে শুরু করবে এবং মুরগির ইমিউন সিস্টেম ও শক্তিশালী হবে, ফলে জীবানু সংক্রমণ রোধ

৩। প্রতিদিন কিছু সময় মুরগিকে রোদে রাখতে হবে। গরমকালে ৫ থেকে ১০ মিনিট এবং শীতকালে ৩০ মিনিট রোদে রাখতে হবে। এতে যেকোনো জীবানু সংক্রমণ রোধে কাজে আসবে।

৪। মুরগিকে নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্য দিলে মুরগির এই রোগ সমস্যা হওয়ার সম্ভবনা কমে যাবে।

৫। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

ডা মোঃ শাহীন মিয়া, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ,বিসিএস প্রাণিসম্পদ।

ফার্মসএন্ডফার্মার/২৩নভেম্বর২০২০