মৎস্য ব্যবসাকে লাভজনক করতে ঢাকায় চালু হল ‘কেমিন অ্যাকুয়াসায়েন্স’

382

মাছ হল প্রোটিনের অন্যতম উৎস যা বৈশ্বিক খাদ্য সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বিশ্বের জনসংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণিজ প্রোটিনের তাজা, নিরাপদ এবং সাশ্রয়ী উৎসের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সাথে টেকসই মৎস্য চাষে উচ্চ মানের ফিস ফিড এবং প্রিমিক্স/এডিটিভস্ এর প্রয়োজনীয়তাও বৃদ্ধি পেয়েছে। ফিশ ফিড উৎপাদনকারীর পাশাপাশি চিংড়ি এবং মাছ চাষিরা এর জন্য চায় টেকসই প্রযুক্তি এবং সমাধান যা তাদের ব্যবসাকে লাভজনকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করতে পারে। সে লক্ষে কেমিন অ্যাকুয়াসায়েন্স বাংলাদেশে বৃহত্তর পরিসরে কাজ শুরু করেছে।

শনিবার ঢাকার অভিজাত রেডিসন ব্লু হোটেলে “টেকসই অ্যাকুয়াকালচারের জন্য নভেল অ্যাকুয়াফিড সলিউশনস” শীর্ষক একটি লঞ্চিং অনুষ্ঠানে এসব বিষয়গুলি জানালেন কেমিন অ্যাকুয়াসায়েন্স’কারিগরী বিশেষজ্ঞরা।

স্বাগত বক্তব্যে কেমিন অ্যাকুয়া সায়েন্স এর রিজিওনাল ডিরেক্টর (সাউথ এশিয়া) কৃষ্ণান পি বলেন, কেমিন দীর্ঘদি যাবৎ বাংলাদেশের মৎস্য শিল্পের উন্নয়নে গবেষণাধর্মী পণ্য ও সেবা দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। আজকের এই অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশের একুয়া সেক্টরকে সমৃদ্ধ করবে বলে মনে করেন তিনি।

থাইল্যান্ডের কাসেটসার্ট ইউনিভার্সিটির ফিশারিজ অনুষদের অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ওরাপিন্ট জিনতাসাটাপর্ন বলেন, এখন একুয়াকালচারে বিকল্প উপায়ে ফিস ফিড উৎপাদনের বিষয়গুলি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। এসময় তিনি এ লক্ষে করণীয় ও এর চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা করেন।

কেমিন ইন্ডাস্ট্রিজ সাউথ এশিয়ার ডিরেক্টর সেলস জনাব সুশান্ত দে ছয়টি অভিনব অ্যাকুয়াফিড পণ্য লঞ্চ করেন।

কেমিন অ্যাকোয়াসায়েন্স এর প্রোডাক্ট ম্যানেজার গ্রিন স্বাংদাচারুক উপস্থাপন করেন “ফিশ ফিডে বিকল্প উপাদানের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে কেমিনের সমাধান”।

এসময় গ্রিন বলেন, সুষম ফিশ ফিড তৈরি করতে অবশ্যই উচ্চ মানের কাঁচামাল ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে সারা বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনের প্রতিটি কাঁচামালের দাম ব্যাপক হারে বেড়েছে। সেজন্য মাছের খাদ্য উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রতিটি কাঁচামাল থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে কী পরিমাণ পুষ্টি আহরণ করা যায় তা দেখা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ফিড কনভার্সন রেশিও (F.C.R) বাড়িয়ে অ্যাকুয়াকালচারের উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর কথা ভাবুন, কেমিন অ্যাকুয়াসায়েন্স এটি নিয়ে কাজ করছে, যেমন গ্রিন উল্লেখ করেছেন।

মিলস্মার্ট, কেএএস (কেমিন অ্যাপ্লিকেশন সলিউশন) আঞ্চলিক ব্যবসা ব্যবস্থাপক- কে সতীশ “ফিড মিলিং দক্ষতা অপ্টিমাইজ করে লাভের উন্নতি” বিষয়ে উপস্থাপনা করেছেন।

কে সতীশ বলেন,প্রত্যেকটি ফিস ফিড কোম্পানি বা উদ্যোক্তা চান তাদের ব্যবসায়িক মূল নীতির উপর ভিত্তি করে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি সাধন করা। ব্যবসার উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে একজন ফিড মিল ম্যানেজার পারেন তার কর্মক্ষমতা এবং দক্ষতার উন্নয়ন করা। এর উপর উপর ভিত্তি করে মূল সিদ্ধান্ত নিতে পারেন তিনি যা ব্যবসাকে লাভজনক করার পাশাপাশি উত্পাদনশীলতা বাড়াবে, সেইসাথে ফিড উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেবে।

মৎস্য শিল্পে জড়িত স্টেকহোল্ডাররা এ ধরনের প্রোগ্রাম অনুষ্ঠানের জন্য কোম্পানিকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। নিরাপদ মৎস্য পণ্যের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য এধরনের কারিগরি কর্মশালা অত্যন্ত যুগোপযোগী বলে মনে করেন তারা। এ ধরনের কার্যক্রম এর ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে সকলকে এগিয়ে আসা উচিত বলে মনে করেন মৎস্যশিল্পের জড়িত সুধীজনেরা।

অনুষ্ঠানে দেশের দেশের মৎস্য সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় পুষ্টিবিদ, কনসালটেন্ট, মৎস্যশিল্পের জড়িত বিভিন্ন কোম্পানির প্রধান নিবার্হী, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯জুন ২০২২