তবিবর রহমান, যশোর সংবাদদাতা: যশোরে যাত্রা শুরু করলো ৬টি নিরাপদ পোল্ট্রি মুরগি বিক্রয় কেন্দ্র। যশোর শহরের এই ৬টি বিক্রয় কেন্দ্রে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে ব্রয়লার মুরগি জবাই ও প্রসেসিং করা হবে। এই নিরাপদ জবাই ও প্রসেসিংয়ের যাবতীয় উপকরণ সরবরাহ করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে এইসব উপকরণ সরবরাহ করা হয়।
জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (এফএও) ফুড সেফটি প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ডা. তাসলিমা আকতার জানান, দেশের প্রাণিজ আমিষের চাহিদার সিংহভাগ পূরণ করছে ব্রয়লার মুরগি। কিন্তু উৎপাদন, জবাই ব্যবস্থাপনা নিরাপদ না হলে ভোক্তার স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে যায়। তাই নিরাপদ পোল্ট্রি মুরগি উৎপাদনে যশোরে ইতোপূর্বে ৪০ জন খামারিকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এখন জবাই ব্যবস্থাপনা নিরাপদ করতে প্রাথমিক পর্যায়ে সারাদেশে ১০টি নিরাপদ পোল্ট্রি মুরগি বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। এর ৬টিই স্থাপন করা হয়েছে যশোরে।
যশোর সদরের নিরাপদ পোল্ট্রি খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন-অর-রশিদ জানান, যশোরে ৬টি স্পটে নিরাপদ পোল্ট্রি মুরগি বিক্রয় কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। এগুলো হলো, শহরের বড় বাজারে সাইফুল ইসলামের দোকান, বাবলাতলায় আলমগীর হোসেন, ঘোপ বেলতলায় হারুন অর রশিদ, বেজপাড়া তালতলায় রফিকুল ইসলাম বাবু, শেখহাটিতে এনামুল কবির এবং হাশিমপুর বাজারে মিজানুর রহমানের দোকান।
যশোর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপনেশ্বর রায় জানান, এই ৬টি নিরাপদ পোল্ট্রি মুরগি বিক্রয় কেন্দ্রে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মুরগি জবাই ও প্রসেসিংয়ের যাবতীয় উপকরণ দেয়া হয়েছে। এখন থেকে তারা ভোক্তাদের কাছে নিরাপদ পোল্ট্রি মাংস বিক্রি করবে। এটি অব্যাহত রাখতে তাদেরকে নিয়মিত মনিটরিংও করা হবে।
এদিকে, এই কেন্দ্রগুলোর উদ্বোধন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে ‘নিরাপদ ব্রয়লার মাংস উৎপাদন ও বিপণন বিষয়ক সচেতনতামূলক আলোচনা সভা ও নিরাপদ ব্রয়লার কেন্দ্রে উপকরণ বিতরণ’ অনুষ্ঠিত হয়।
বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও এফএও ফুড সেফটি প্রোগ্রামের যৌথ আয়োজনে এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের উপ-পরিচালক কল্যাণ কুমার ফৌজদার। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবতোষ কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সদর নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ-উজ-জামান।
বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলার প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. তপনেশ্বর রায়, এফএও’র ফুড সেফটি প্রোগ্রামের ন্যাশনাল কনসালটেন্ট ডা. তাসলিমা আকতার, ডা. শাহিনুল ইসলাম, ভোক্ত অধিদপ্তর যশোরের উপ-পরিচালক সোহেল শেখ, ইউপি চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম, মোদাচ্ছের আলী, আলীমুজ্জামান মিলন, নিরাপদ পোল্ট্রি খামারি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মামুন অর রশিদ প্রমুখ।
ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন