রংপুরে ব্রি ধান৫৯’র ওপর মাঠদিবস অনুষ্ঠিত

318

কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম, রংপুর থেকে: চাষি পর্যায়ে ধান, পাট ও গম বীজ উৎপাদন, সংরক্ষণ ও বিতরণ প্রকল্পের আওতায় ১৬ মে রংপুর মেট্রো এলাকার পশ্চিম গোপীনাথপুর গ্রামে ব্রি ধান৫৯’র নমুনা ফসল কর্তনের ওপর মাঠদিবস অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. শাহ আলম।

অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন ডিএই উপপরিচালক কৃষিবিদ স ম আশরাফ আলী, মিঠাপুকুরের উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. খোরশেদ আলম, কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক বেতার কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবু সায়েম, মেট্রোপলিটন কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. মো. সাইখুল আরিফিন, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মল্লিকা রাণী, সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা অরুন কুমার রায়, মো. আল আমিন প্রমুখ।

প্রধান অতিথি বলেন, এ বছর প্রচলিত ব্রি ধান২৮ এ ব্লাস্ট রোগের বেশ প্রকোপ থাকলেও ব্রি ধান৫৯ জাতে এ রোগের কোন লক্ষণ দেখা যায়নি। ধান পাকতে ব্রি ধান২৮ এর চেয়ে ৫-৭ দিন বেশি লাগলেও বিঘা প্রতি ৪-৫ মণ বেশি ফলন পাওয়া যায়।

তিনি আরো বলেন, যে মাটিতে ব্রি ধান২৮ বা ব্রি ধান২৯ হয় সে মাটিতেও এ জাত ভালো ফলন দিতে সক্ষম। এ জাতের চাল সাদা, মাঝারি মোটা ও খেতে সুস্বাদু। মাঠদিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি প্রদর্শনী কৃষক মো. নুরনবীকে এ জাতের বীজ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে আগামী মৌসুমে প্রতিবেশি কৃষকদের মাঝে বিতরণের জন্য অনুরোধ জানান।

এ সময় অতিথিরা প্রদর্শনী কৃষক দম্পতির বীজ ব্যবসা কার্যক্রম পরিদর্শন করে ভূয়সী প্রশংসা করেন। প্রদর্শনী কৃষক ও সফল কৃষি উদ্যোক্তা মো. নুরনবী জানান, নমুনা কর্তনে তিনি হেক্টর প্রতি শুকনা ধানে প্রায় ৬.৪৬ টন ফলন পেয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, পার্শ্ববর্তী জমিতে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ থাকলেও তার জমিতে কোনো আক্রমণ হয়নি।