রাজশাহীতে পোল্ট্রি হ্যাচারির পাশে ইটভাটা স্থাপনের চেষ্টা, পোল্ট্রি হ্যাচারির ক্ষতির আশংকা

906

[su_slider source=”media: 2236,2235,2234″ title=”no” pages=”no”]

এম. ওবাইদুল্লাহ, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার লোন্দপুরে পোল্ট্রি মুরগির বাচ্চা ফোটানের একটি প্লান্টের পাশে ইটভাটা তৈরির পরিকল্পনায় হুমকির মুখে পড়েছে ওই পোল্ট্রি শিল্প বলে দাবি করেছেন প্লান্টের কর্তৃপক্ষ। পরিবেশ অধিদপ্তর বিষয়টি তদন্ত করেছে। প্রানী সম্পদ অধিদপ্তর প্লান্টের পাশে ইটভাটা স্থাপনের বিষয়টিকে ওই প্লান্টের জন্য ক্ষতিকর হবে বলে জানিয়েছে। ইটভাটা স্থাপন না করার জন্য প্লান্টের কর্তৃপক্ষ প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়েছে। ইটভাটার মালিক পক্ষ বলেছে এটি পুরোপুরি সয়ংক্রিয় প্লান্ট হবে। এ থেকে কোনো ধরনের দূষণ হবে না।

জানা গেছে, ওই এলাকায় ২০০৯ সালে আমান পোল্ট্রি হ্যাচারি লিমিটেড স্থাপন করা হয়। এটি ২০১০ সালে উৎপাদনে যায়। বর্তমানে এখানে বিনিয়োগ ১৩০ কোটি টাকা। ১২ একর জমির ওপর স্থাপিত এই প্লান্টে প্রতি সপ্তাহে ছয় লাখ বাচ্চা উৎপাদিত হয়। এতে ৩৬ হাজার খামারি উপকৃত হচ্ছে। পরক্ষোভাবে উত্তরাঞ্চলের ৫০ লাখ মানুষ উপকৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আমান গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আজিজুল হক। এটি খুব সেসেটিভ প্লান্ট। এখানে যদি ইটভাটা স্থাপন করা হয় তবে তার দুষনে মুরগি ক্ষতিগ্রস্থ হবে বিভিন্ন ভাবে। ধুলার কারনে মুরগির ফুসফুসে সিলিকেসিস রোগে আক্রান্ত হবে। শব্দ দূষনের কারনে মুরগির জীবনযাত্রায় নানা সমস্যা দেখা দিবে বলে জানিয়েছেন আমান পোল্ট্রি এন্ড হ্যচারির ডিজিএম এস.জে.এস আলম।

প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর একটি চিঠিতে জানানো হয় সরকারি গেজেটে বলা হয়েছে খামারের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো ভারি শিল্প স্থাপন করা যাবে না। এই চিঠি পরিবেশ অধিদপ্তর এবং প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের সকল দপ্তরে চিঠি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ইটভাটা স্থাপনের পরিকল্পনাকারী প্রতিষ্ঠান উপেন ব্রাদার্স অটোব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর উপেন্দ্রনাথ মন্ডোল জানান, এটি এডিবির অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করা হবে। এটা পুরোপুরি দূষণমুক্ত। এর জন্য আশেপাশের পরিবেশ দূষিত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। পরিবেশ মন্ত্রনালয়ের প্রস্তাবিত অটো ব্রিক্সমিলের সব শর্ত তারা পূরণ করেছেন। তিনি পারিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের প্রত্যাশায় রয়েছেন।

পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মামুনুর রশিদ বলেন, তারা এই ইটভাটা বন্ধের জন্য একটি আবেদন পেয়েছেন। তার প্রেক্ষিতে এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। দুই পক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে শুনানী হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য বগুড়াতে পরিচালক দপ্তরে ফাইল পাঠানো হয়েছে।