যেকোন খামার তৈরিতে প্রথম খরচটা কোথায় করবেন? বাচ্চা কিনতে ? ঘর বানাতে ? খাদ্য কিনতে? ৩টাই বেঠিক উত্তর।
আমার মতে ভ্যাক্সিন হওয়া উচিত প্রথম খরচের জায়গা। কারণ হাঁস বা মুরগীর খামার ভ্যাক্সিন দেয়াটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্র্যাকটিস। মূলত যেকোন খামার গড়ার সময় সবার আগে ভ্যাক্সিন কিনে রাখতে হবে। কারন বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে টাকা থাকলেও ভ্যাক্সিন পাওয়া যায়না।
হাঁসের তিনটা ভ্যাক্সিন, ডাক প্লেগ, বার্ড ফ্লু এবং ডাক কলেরা। হাঁস খামার করতে চাইলে এই ৩ টা ভ্যাক্সিনের প্রাপ্ততা আগে নিশ্চিত করুন। বাচ্চা বুকিং দেয়ার আগে এই ৩ টা ভ্যাক্সিন আগে বুকিং দিন। খামারে বাচ্চা উঠানোর ৭ দিন আগে ফ্রিজে এই ভ্যাক্সিনগুলো রাখেন। নাইলে খামার গড়ে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
ডাক প্লেগ এবং ডাক কলেরা ভ্যাক্সিন সরকারিটা নিবেন। বার্ড ফ্লু ভ্যাক্সিন এডভান্স এনিম্যাল অথবা এসিআই কোম্পানিরটা নিবেন। আগেই বলে রাখছি, ভ্যাক্সিনগুলো সব সময় পাওয়া যায়না। ডোজ অনুসারে আপনার খামারের সাথে মিলবেও না। তাই আগে থেকে প্ল্যান করে বাচ্চা তুলবেন।
যেমন, এডভান্স এনিম্যালের বার্ড ফ্লু ভ্যাক্সিন চায়না থেকে ৬ মাস পর পর আনে। ২৫০ মিলির ভ্যাক্সিন দিয়ে ৫০০ বাচ্চাকে এবং ২৫০ বড় হাঁসকে দেয়া যায়। অন্যদিকে এসিআই কোম্পানির ভ্যাক্সিন দিয়ে ১০০০ ডোজের যা দিয়ে ২০০০ বাচ্চা এবং ১০০০ বড় হাঁসকে ভ্যাক্সিন করা যায়।
এখন আপনি খামারে ১০০ হাঁস তুললে এই ভ্যাক্সিন তাহলে অন্য খামারের সাথে সমন্বয় করে কিনতে হবে।
আবার বলছি, হাঁসের খামারে ৩ টি ভ্যাক্সিন মাস্ট দিতেই হবে। নাইলে আপনার লাখ টাকার বিনিয়োগ ধ্বংস হতে ৭ দিন সময় লাগবে।
চলবে…
এ এফ এম ফয়জুল ইসলাম
পোল্ট্রি ডেভেলপম্যান্ট অফিসার
আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামার, বাগেরহাট।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১০অক্টোবর২০