ট্যানারি বর্জ্য ধ্বংস করায় র‌্যাব-প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে বিপিআইসিসির ধন্যবাদ

443

bpicc

সাভারে বিপুল পরিমাণ ট্যানারিবর্জ্য ধ্বংস করায় র‌্যাব ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআিইসিসি)।

গত মঙ্গল ও বুধবার (২২ ও ২৩ জানুয়ারি) সাভারের ভার্কুতা ইউনিয়নের পাঁচটি স্থানে এসব বর্জ্য পোড়ানো হয়।

বিপিআইসিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়, এ ধরনের বিষাক্ত বর্জ্য পরিবেশ এবং মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সে কারণে এ ধরনের শিল্পবর্জ্য সঠিক পদ্ধতিতে ধ্বংস করার সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। আমরা আশা করবো পরিবেশ প্রাণিক বিশেষ করে মানুষের জীবন ও সুস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে র‌্যাব-প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ ধরনের অভিযান চলমান রাখবে।

এ বর্জ্য ধ্বংসের খবর গত ২২ ও ২৩ তারিখে দৈনিক পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ করা হয়। কিছু ওইসব প্রতিবেদনে ভুল তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে। যেমন-প্রতিবেদনগুলোতে পাঁচটি খোলা স্থানে স্তুপকৃত ট্যানারির বর্জ্য ধ্বংস করা হলেও সেই বর্জ্য দিয়ে হাঁস-মুরগি-মাছের খাদ্য তৈরির কারখানায় অভিযান চালানো হয়েছে বলে প্রকাশিত হয়। সেখানে বলা হয়েছে-ট্যানারির বর্জ্য দিয়ে তৈরি ১১ হাজার টন খাদ্য জব্দ করা হয়েছে। আসলে সেগুলো ছিল ট্যানারির বর্জ্য। কাজেই এর সাথে পোল্টিশিল্প বা খাদ্য তৈরির শিল্পের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ধরনের ভুল সংবাদের কারণে ভোক্তাদের মাঝে নেতিবাচক ধারণা ও ভীতির সৃষ্টি হয়েছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।

বাংলাদেশে এখন সরকারিভাবে নিবন্ধিত ১৯৮টি ফিডমিল রয়েছে। ফিড কর্মুলেশন ও প্রযুক্তির ব্যবহার অত্যন্ত নিরাপদ পোল্ট্রি ও মাছের খাবার এখন দেশেই তৈরি হচ্ছে-যেখানে নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহার কোনো সুযোগ নেই।

তাই ভোক্তা সাধারণকে আমরা জানাতে চাই-আপনারা নিশ্চিন্তে পোল্ট্রির মুরগির ডিম, মাংস এবং মাছ খেতে পারেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/ মোমিন