খাঁচায় মাছ চাষে বাড়বে উৎপাদন এমনটিই জানিয়েছেন বিএফডিসির কর্মকর্তারা। দেশে মাছে চাহিদা পূরণ ও উৎপাদন বৃদ্ধি করতে কাপ্তাই হ্রদে খাঁচায় মাছ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন রাঙামাটি শাখা। এই প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিকভাবে চারটি খাঁচা তৈরি করেছেন তারা।
রাঙামাটি শাখার কর্মকর্তারা জানান, রাঙামাটির মিঠা পানির হ্রদে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রয়েছে। সরকার হ্রদের মাছ থেকে প্রত্যেক বছর কোটি টাকার রাজস্ব আদায় করে থাকে। কিন্তু অবৈধভাবে ও ভুল পদ্ধতিতে মাছ আহরণ, জনসচেতনতার অভাব, দূষণ বৃদ্ধি, হ্রদের গভীরতা হ্রাস, কারেন্ট জালের ব্যবহারসহ বিভিন্ন কারণে প্রতিনিয়ত মাছের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।
বিএফডিসি কর্তৃপক্ষ তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিকল্প পদ্ধতিতে খাঁচায় মাছ চাষ করার। এজন্য চারটি খাঁচাও বানানো হয়েছে। খাঁচাগুলোতে কাতলা, রুই, মৃগেল, পাবদা, তেলাপিয়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ উৎপাদন করা হবে। এজন্য খাঁচাগুলো তৈরি করা হয়েছে।
কর্মকর্তারা আরও জানান, হ্রদে মাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করার জন্য আমরা বিভিন্ন উপায় উদ্ভাবন করেছে। যদি মাছের উৎপাদন বাড়ানো না যায় তাহলে কাপ্তাই হ্রদ তার নিজস্ব গৌরব হারাবে। সরকার হারাবে বিশাল পরিমাণের রাজস্ব।
বিএফডিসি রাঙামাটি শাখার ব্যবস্থাপক লে. কর্নেল এম তৌহিদুল ইসলাম জানান, এই হ্রদে আগের মতো আরও মাছ উৎপাদন হচ্ছে না। হ্রদে মাছের উৎপাদন বাড়ার লক্ষ্যে বিএফডিসি নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল খাঁচায় মাছ চাষ পদ্ধতি।
এর জন্য চারটি ভাসমান খাঁচা বানানো হয়েছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে প্রথম দু’টি খাঁচায় তেলাপিয়া এবং অপর দু’টিতে কালিবাউস, পাঙ্গাস, রুই, কাতাল, মৃগেলসহ বড় প্রজাতির মাছের পোনা ছাড়া হবে।
কমান্ডার তৌহিদুল আরও জানান, এ প্রকল্পটি বানাতে প্রায় ৫ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে। আমরা আশা করছি এতে সফলতা পাব। সবার সহযোগিতা নিয়ে কাজ করলে খুব দ্রুত আমরা মাছের উৎপাদন বাড়াতে পারব।
ফার্মসএন্ডফার্মার/১৯ফেব্রু২০২০