গত বছর শীতে অনেক এলাকায় মহামারীর আকারে মুরগী মারা গেছে, তাই এবার আগে থেকেই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। নিচে জৈব নিরাপত্তা নিয়ে বিস্তারিত দেওয়া হল-
১। পোল্ট্রি খামারে ভাল মানের বাচ্চা ও খাদ্য নির্ভরযোগ্য উৎস্য থেকে সংগ্রহ করতে হবে। প্রয়োজনে রুটিন অনুযায়ী খাদ্য পরিক্ষা করে তারপর খাদ্য প্রদান করতে হবে।
২। পোল্ট্রি খামারে প্রবেশের জন্য অবশ্যই আলাদা সেন্ডল ব্যবহার করতে হবে। মনে রাখতে হবে রোগ-জীবাণুর ৭০% সেন্ডেলের মাধ্যমে প্রবেশ করে। অতএব বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৩। পোল্ট্রি খামারটি অবশ্যই লোকালয় এর বাহিরে গড়ে তুলতে হবে। লোকালয় এর ভিতরে বা বাহিরে হলেও চারিদিকে অবশ্যই বেস্টনি প্রদান করতে হবে।
৪। খামারের ভিতরে ব্যবহারের জন্য আলাদা পোষাক রাখুন। বহিরাগতদের জন্য আলাদা পোষাক রাখুন।
৫। ফুট বাথ ব্যবহার করুন। ৩ স্তরের ফুট বাথ ব্যবহার করুন। প্রথমটি ডিসইনফেক্টেট মিশ্রিত পরেরটি সাদা পানি শেষেরটি সোডা মিশ্রিত। ময়লাযুক্ত সেন্ডেল কখন ফুট বাথে ব্যবহার করবেন না। ময়লা মিশলে জীবানুনাশক নস্ট হয়ে যায়।
৬। মৃত মুরগি গর্ত করে ২ মিটার মাটির নিচে পুতে রাখুন। কোন অবস্থায় বাহিরে ফেলবেন না। একটা এলাকায় কোনো রোগের মহামারী আকার ধারণ করার এটাই সবচেয়ে বড় কারণ।
৭। পোল্ট্রি খামারে ব্যবহার্য জিনিসপত্র ডিমের ট্রে,খাদ্যের পাত্র, পানির পাত্র, ইত্যাদি জীবানুনাশক দিয়ে ধুয়ে খামারে প্রবেশ করান।
৮। পোল্ট্রি খামারের প্রবেশ পথে অবশ্যই জীবাণুনাশক স্প্রে ব্যবহার করতে হবে।
ডা মোঃ শাহীন মিয়া
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা
বিসিএস প্রাণিসম্পদ
ফার্মসএন্ডফার্মার/০২ফেব্রুয়ারি২০২১