মো. এরশাদ আলী, রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহীর দূর্গাপুর পৌরসভার শানপুকুরিয়া কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রে বাণিজ্যিকভাবে ভার্মিকম্পোস্ট (কেঁচোসার) তৈরি শুরু হয়েছে ফ্রেরুয়ারি থেকে।
এআইসিসি সদস্যদের প্রথমে এ ব্যাপারে পরামর্শ ও উৎসাহ দেন সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার ডি. কৃষিবিদ মো. মোখলেসুর রহমান।
বর্তমানে সেখানে ১৫টি চারির মধ্যে কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি হচ্ছে। ভার্মিকম্পোস্টের জন্য গোবর ৭০%, কচুরীপানা ২০%, কলাগাছ ১০% ব্যবহার করা হয়। গোবর, কচুরীপানা, কলাগাছ আলাদা আলাদা চেম্বারে পচিয়ে কেঁচোর খাবার উপযোগি করা হয়। পরে চারির মধ্যে কেঁচো ও খাবার দিয়ে দিতে হয়। ৪০-৪৫ দিন পর চারিগুলো হতে জমিতে প্রয়োগের উপযোগি ভার্মি কম্পোস্ট পাওয়া যায়।
এ ধরনের সার পেয়ারা, বেগুন, পেঁয়াজ, রসুন, ধান ও গম ফসলে ব্যবহার করে ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে বলে জানান শানপুকুরিয়া কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের সভাপতি মো. আ. সাত্তার। তিনি বলেন, আগামীতে বড় আকারের টিনসেটের মধ্যে ভার্মিকম্পোস্ট তৈরির সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে, কয়েক দিনের মধ্যে উৎপাদন শুরু হবে।
১৬ মে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ ড. বিমল কুমার প্রামানিক ভার্মিকম্পোস্ট খামারটি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ মো. মিন্টু মিয়া, পৌরসভার ৮ নম্বর ওর্য়াড কাউন্সিলার মো. আনসার আলী, উপসহকারি উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার ডি. কৃষিবিদ মো. আমির আলী ও সংশ্লিষ্ট ব্লকের উপসহকারি কৃষি অফিসার ডি. কৃষিবিদ মো. মোখলেসুর রহমান ।
তিনি এসব কার্যক্রম দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং বলেন, এ জাতীয় জৈবসার দূর্গাপুরে আরো যদি থাকত তবে রাসায়নিক সারের চাহিদা অনেক কমে যেত। এ মহান কাজ করার জন্য তিনি শানপুকুরিয়া কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্রের সকল সদস্যকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। সবশেষে ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
পরিদর্শনের সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন কৃষি তথ্য সার্ভিসের কর্মকর্তা মো. এরশাদ আলী, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, এআইসিসি সদস্য ও অন্যান্য কৃষাণ-কৃষাণী মিলে প্রায় ৫০ জন।