এসময়ে গবাদিপ্রাণি-হাঁস-মুরগির সুস্থতায় টীকা ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা

358

সামনে বর্ষা মাস শুরু হবে। বিরুপ আবহাওয়াও বিরাজ করছে। এসময়ে গবাদিপ্রাণি-হাঁস-মুরগির সুস্থতায় টীকা ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা খুবই শক্তিশালী করতে হবে। কেননা এ সময়ে রোগ বালাই অনেক বেশি আক্রমণ করতে পারে আপনার খামারের এসব প্রাণিদের।

এ সময়ে প্রাণি চিকৎসকের পরামর্শ নিয়ে গবাদিপ্রাণি, হাঁস ও মুরগির সঠিক যত্ন নিতে হবে। প্রাণিচিকিৎকের সাথে পরামর্শ করে হাঁস মুরগির ভ্যাকসিন দিতে হবে।

বাজারে রাণীক্ষেতের জন্য নবিলিস এনডি ল্যাসুটা, এনডিএলএস, সিভেক নিউ এল, আইজোভ্যাক এনডি কিল্ড, নিউক্যাভাক, ইমোপস্টে, নিউক্যাসেল ল্যাসুটা এসব। এছাড়া গামবোরো রোগে নবিলিস ২২৮, সিভেক গামবো এল, আইজোভ্যাক গামবো-২এসব। আর বসন্ত রোগে সিভেক এফপিএল, নবিলিস, ওভোড্রিপথেরিন এসব পাওয়া যায়।

এছাড়া হাঁস মুরগির কৃমির জন্য ওষুধ খাওয়ানো, ককসিডিয়া রোগ হলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহাণ এবং জরুরিভাবে অন্যান্য প্রতিষেধক টিকা দিয়ে দিতে হবে।

বর্ষা আসার আগেই গবাদি পশুর আবাসস্থল পরিপাটি করে পুনঃসংস্কার, আশপাশ পরিষ্কার করা, জমে থাকা পানির দ্রুত নিকাশের ব্যবস্থা, বর্ষার নিয়মিত এবং পরিমিত গো-খাদ্যের যোগান নিশ্চিত করাসহ অন্যান্য কাজগুলো সঠিকভাবে করতে হবে।

গবাদি পশুর গলাফোল, ডায়রিয়া, ক্ষুরারোগ, নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য রোগের ব্যাপারে টিকা দেয়াসহ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে। এসময়ে গবাদিপ্রাণি-হাঁস-মুরগির সুস্থতায় টীকা ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা শিরোনামের সংবাদটির তথ্য কৃষি তথ্য সার্ভিস থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।

প্রিয় খামারি সব সময় মনে রাখতে হবে সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থাপনাই কেবল আপনার খামারকে লাভবান করতে পারে। সুতারাং গবাদি প্রাণি ও হাঁস মুরগির রোগ প্রতিরোধে সব সময় ভালো মানের চিকিৎসা দিতে হবে। নইলে রোগে আক্রান্ত হলে আপনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

ফার্মসএন্ডফার্মার/ ০৩ জুন ২০২১