করোনায় ক্রেতা নেই, মাঠেই নষ্ট হচ্ছে তরমুজ

446

ভরা মৌসুমে আগে কখনো এমন করুন দশায় পড়েনি পটুয়াখালীর তরমুজ চাষীরা। ক্রেতার অভাবে মাঠেই পঁচতে শুরু করেছে কষ্টের ফসল। করোনার প্রভাবে বিপাকে পড়েছে পটুয়াখালীর উপকূলীয় হাজার হাজার তরমুজ চাষী। জেলার ২২ হাজার হেক্টর জমির মাঠ জুড়ে তরমুজের চাষ হলেও করোনা দুর্যোগের কারণে যথা সময়ে এ ফল কাটতে পারছেন না চাষীরা। ধার দেনায় জর্জরিত কৃষক পরিবারগুলো কোন উপায়ন্ত না পেয়ে হাহাকার দিন পার করছেন। ধারণা করা হচ্ছে এভাবে চলতে থাকলে পটুয়াখালীতে অন্তত ৫০০ কোটি টাকার ক্ষতি হবে তরমুজ চাষীদের।

রাঙ্গাবালী উপজেলার কৃষক এমদাদ হোসেন জানান, সবেমাত্র ফল কাটার উপযোগী হয়েছে, এসময় ক্রেতাদের সমাগম থাকে প্রচুর। কিন্তু এবার ব্যাপারীরা আসছেন না। ফলে হাটে নিয়ে তরমুজ বিক্রি করার মতও লোক নেই। চাষীরা এখন ক্ষেতে বসেই জমির তরমুজ আগাম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে জানিয়ে ওই কৃষক বলেন, তার জন্যও ক্রেতা পাওয়া যাচ্ছে না।। একই উপজেলার আরেক কৃষক আজিজ মিয়া জানান, এখন বাজারজাত করার সময়। কিন্তু বাজারজাত করতে না পারায় অনেকের তরমুজ পঁচে যাচ্ছে। আবার অনেক তরমুজ বেশি পেকে যাওয়ায় ফুটে যাচ্ছে। লঞ্চ ও ট্রাক চলাচল না করায় ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য স্থানে তরমুজ পাঠানো যাচ্ছেনা।

অন্যদিকে, মানুষ ঘরমুখি হওয়ায় স্থানীয় বাজার গুলোতেও তরমুজের কদর নেই বলে জানান স্থানীয় চাষীরা। যার কারণে পেকে যাওয়া তরমুজ গুলো ক্ষেতেই পঁচছে। ধারনা করা হচ্ছে আগামী একমাস এভাবে থাকে তাহলে শতকরা ৮০ ভাগ তরমুজ নষ্ট হবে। আর সবচেয়ে বেশী বিপাকে আছে. ধারদেনা করে তরমুজ

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো: মনিরুল ইসলাম বলেন, তরমুজ পেকে গেলেই নষ্ট হয়ে যায়না। কিছু দিন সংরক্ষণ করা যায়। সে ক্ষেত্রে কৃষকদের এখনো সম্ভাবনা আছে ফসল তুলতে পারবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে আশেপাশের জেলাগুলোতে তরমুজ কিভাবে বাজারজাত করা যায় ইতোমধ্যেই উপজেলা প্রশাসন সে ব্যাপারে চিন্তা ভাবনা করছে।

আমরা কৃষকদেরকে এখন জমিতে পানি দিতে নিষেধ করেছি, তাতে মাঠে কিছুদিন তরমুজ ভালো থাকবে, বলেন কলাপাড়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আঃ মান্নান। তিনি বলেন, সপ্তাহ দু’এক এর মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় তাহলে চাষীদের তরমুজ বাজারজাতকরণের সমস্যা হবে না। সেক্ষেত্রে তারা ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে মনে করেন আ: মান্নান।

ফার্মসএন্ডফার্মার/০১মে২০