কুমিল্লায় বিটি বেগুনের উৎপাদন পদ্ধতি সম্পর্কে প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

363

বেটি বেগুন

আমাদের দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাছে বেগুন খুবই জনপ্রিয় একটি সবজি। বিশেষ করে মাহে রমজানে সকলের ইফতারের তালিকায় আকর্ষণীয় খাবার হিসেবে থাকে বেগুনী। বেগুন সুস্বাদু ও পুষ্টিকর সবজির মধ্যে অন্যতম। পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে সুস্থ্য থাকার জন্য প্রতিদিন জনপ্রতি ২২০ গ্রাম সবজি খেতে হবে। পুষ্টি চাহিদা পূরনে বেগুন অনন্য ভূমিকা রাখে। বাণিজ্যিক ভিত্তিতে আমাদের কৃষক ভাইয়েরা বেগুন চাষ করতে গিয়ে প্রায়ই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। কারন বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক কীটনাশক দিয়েও পুরোপুরি দমন করা যায় না।

তাই পরিবেশের ক্ষতি না করে কৃষকের এ ক্ষতি পুষিয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের জন্য কৃষি বিজ্ঞানীরা আবিষ্কার করেছেন বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকা প্রতিরোধী জাত “বিটি বেগুন”। ব্যাসিলাস থুরিনজিয়েন্সিস নামক ব্যাকটেরিয়া থেকে জিন নিয়ে বেগুনের মধ্যে প্রবেশ করিয়ে বিটি বেগুন আবিষ্কার করা হয়েছে। যা বেগুনের ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার জন্য ক্ষতিকর কিন্তু মানব দেহের জন্য সম্পূর্ণ নিরাপদ।

এ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরির জন্য, “ফিড দ্যা ফিউচার সাউথ এশিয়া এগপ্লান্ট ইমপ্রুভমেন্ট পার্টনারশিপ” এর অর্থায়নে, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র (বারি), কুমিল্লা এর আয়োজনে, ২সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে, বারি এর প্রশিক্ষণ হলে একদিনের প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

দেশের সর্বস্তরের মানুষ যেন পুষ্টি চাহিদা পূরণের জন্য বিটি বেগুন চাষে আগ্রহী হয়, এ কার্যক্রমকে বাস্তবায়ন করাই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। প্রশিক্ষণে বিএডিসি মার্কেটিং অফিসার ও বীজ ডিলারসহ মোট ৪১ জন প্রশিক্ষনার্থী অংশগ্রহন করেন। প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- ড. মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, কান্ট্রি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর, ফিড দ্যা ফিউচার বায়োটিস প্রোজেক্ট।

সভাপতিত্ব করেন- ড. মো. ওবায়দুল্লাহ কায়সার, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, কুমিল্লা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- মো. ইব্রাহীম হোসেন, যুগ্মপরিচালক(সার) বিএডিসি, কুমিল্লা; মো. মুজিবুর রহমান, যুগ্ম পরিচালক, ডিএডিসি, চট্রগ্রাম।

প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন- ড. মোসাম্মৎ সামসুন্নাহার, মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ রোগতত্ত্ববিদ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুর; ড. মো. শাহাদাৎ হোসেন, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও উদ্ভিদ কীটতত্ত্ববিদ, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুর; ড. এ কে এম কামরুজ্জামান, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, গাজীপুর।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন- কৃষিবিদ শামীমা সুলতানা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বারি, কুমিল্লা।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ