কৃষকরা এখন কৃষি সমস্যার সমাধান করছে ‘কৃষি অ্যাপস’ ব্যবহার করে

363
কৃষি অ্যাপস ব্যবাহার করছে

কৃষি অ্যাপস ব্যবাহার করছে

জয়পুরহাট : কৃষি অ্যাপস ব্যবহার করে বর্তমান সরকারের ভিশন অনুযায়ী ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে বিশেষ ভূমিকা পালন করছে জয়পুরহাটের কৃষাণরা।

কৃষি অ্যাপস ব্যবহার করে বর্তমানে সুফল পাচ্ছেন জয়পুরহাট জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষাণরা। ফসলের যে কোন ধরনের সমস্যা ও সমাধানের জন্য কৃষি অ্যাপস ব্যবহার করে ঘরে বসেই সেবা পাওয়ার ফলে জেলার কৃষাণ-কৃষাণীদের আর কৃষি অফিসে যেতে হয় না।

ডিজিটাল কৃষি সেবা পেতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবিত কৃষকের জানালা, কৃষি কল সেন্টার ১৬১২৩, অনলাইন সার সুপরিশ, কৃষক বন্ধু ফোন সেবা ৩৩৩১, কৃষকের ডিজিটাল ঠিকানা, ই-বালাইনাশক বিষয়ে ঘরে বসেই জানতে পারছেন তারা।

রাবেয়া খাতুন, একজন কৃষি অ্যাপস ব্যবহারকারী। বাড়ি সদর উপজেলার বম্বু ইউনিয়নের কড়ই গ্রামে। কথা হলো কৃষি অ্যাপস ব্যবহার বিষয়ে। উপজেলা কৃষি বিভাগের তত্বাবধায়নে কৃষি সেবা সহজীকরণে কৃষি অ্যাপস ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। এখন নিজের ফসলের যে কোন সমস্যা হলে অ্যাপস ব্যবহার করে সমাধান করে থাকেন। এতে কৃষি অফিসে যাতায়াত খরচ বা সময় দুটোই সাশ্রয় হয় বলে জানালেন রাবেয়া খাতুন।

এলাকার অন্যান্য কৃষকের যে কোন সমস্যায় অ্যাপস ব্যবহার করে তিনি সমাধানও প্রদান করে থাকেন আর এভাইে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলার কৃষি।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় বলেন, কৃষিতে সমৃদ্ধ জেলা জয়পুরহাটে এ পর্যন্ত ১২ হাজার কৃষাণ-কৃষাণীকে কৃষি অ্যাপস ব্যবহার বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত কৃষক-কৃষাণীরা ইতোমধ্যে কৃষি অ্যাপস ব্যবহার করে সুফলও পাচ্ছেন। জেলার সকল কৃষককে কৃষি অ্যাপস ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণের আওতায় আনার জন্য কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন