ক্যাবের উদ্যোগে ‘ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র : কলসেন্টার’ চালু

323

ক্যাবের

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর উদ্যোগে ভোক্তা অভিযোগ নিষ্পত্তি সহায়তায় চালু হলো ‘ভোক্তা অভিযোগ কেন্দ্র : কলসেন্টার’।

ভোক্তা কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করে ক্ষতিগ্রস্ত হলে এই কলসেন্টারে ফোন করে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। ভোক্তাকে তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহায়তা দেবেন কলসেন্টার অপারেটররা। একজন ভোক্তা অভিযোগ দায়ের করলে ১৫ দিনের মধ্যে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অভিযোগের প্রতিকার পাওয়ার ব্যবস্থা করবে কলসেন্টার। এটি খোলা থাকবে শুক্রবার ব্যতীত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত।

০১৯৭৭০০৮০৭১, ০১৯৭৭০০৮০৭২ নম্বর দুটিতে ফোন করে কলসেন্টারে যোগাযোগ করা যাবে। একই সঙ্গে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও ভোক্তার সচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াসে চালু হলো অনলাইন পত্রিকা ‘ভোক্তাকণ্ঠ ডটকম’। ভোক্তা অধিকার সংক্রান্ত সংবাদ, বিশ্লেষণ, ভোক্তা অভিযোগের বৈশ্বিক চিত্র, বিশ্ব ভোক্তা আন্দোলন, বাংলাদেশে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সরকারের গৃহীত নানা পদক্ষেপের খবর মিলবে এই পত্রিকায়। www.voktakantho.com ওয়েব ঠিকানায় গেলে পত্রিকাটি দেখা যাবে।

রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ অডিটরিয়ামে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ক্যাব-এর সভাপতি গোলাম রহমান।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর। আরও উপস্থিত ছিলেন ভোক্তাকণ্ঠ ডটকম-এর সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি সৈয়দ আবুল মকসুদ, সম্পাদক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রকাশক স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত ভিসি ও ট্রেজারার হামিদুল হক খান, প্রকৌশল অনুষদের ডিন ও ক্যাব-এর জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম ও ক্যাব-এর সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাতীয় ভোক্তা অভিযোগ সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর বলেন, ভোক্তা অধিকারের প্রশ্নে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অত্যন্ত সজাগ। তাঁর নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করছে অধিদপ্তর। অধিদপ্তরটির বয়স খুবই কম, মাত্রই ২০০৯ সালে আইনটি পাস হলো। সে হিসেবে বলা যায় এটি একটি শিশু প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এর মধ্যেও অধিদপ্তরের গত কয়েক বছরের কার্যক্রম লক্ষ্য করলে দেখা যাবে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

তিনি হিসাব দিয়ে বলেন, ২০১৬-১৭ সালে অভিযোগের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় ৫ হাজার ৪৭৮টি বৃদ্ধি পায়। ২০১৭-১৮ সালে অভিযোগ জমা পড়ে ৯ হাজার ১৯টি। এর মধ্যে ৮ হাজার ১২২টি অভিযোগ নিষ্পত্তি সম্ভব হয়। এর পাশাপাশি বাজার অভিযানেও গতি এনেছে অধিদপ্তর।

২০১৭-১৮ সালে ৪ হাজার ৫৯ বার বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত ৪২ হাজার ৫৯৯টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৩৪ কোটি ৫৭ লাখ ৬৯ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা করেছে। এটা ইতোমধ্যে ৩৯ কোটিতে পৌঁছে গেছে। এ থেকে প্রায় এক কোটি টাকা ভোক্তারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে বুঝে পেয়েছেন।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন