গাছ লাগানোই আমার পেশা; গাছপাগল কোহিনুর

391

গাছ

আমি গাছ বড় ভালবাসি। গাছ বেড়ে উঠলে ফল দেয়। ছায়া দেয়। সবুজ তরু প্রকৃতি গড়ে তোলে। গাছ দেয় অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি। তাই গাছ লাগানোই আমার পেশা। এসব গাছ দেখভাল করাই আমার নেশা। কথাগুলো বলেন ‘গাছপাগল’ কোহিনুর।

টানা ১২ বছর ধরে সড়কধারে গাছ লাগিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন সাতক্ষীরার তালা উপজেলার আটারোই গ্রামের কোহিনুর ইসলাম সেখ (৪৫) । এবারও ছয় হাজার তালের আঁটি, আম ও জামের চার হাজার চারা ছাড়াও তিনি সড়কধারে বাবলা , খেজুর ও খৈ গাছ লাগানোর পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছেন।

কোহিনুর বলেন ছোট বেলা থেকেই আমার এই নেশা। এজন্য লোকে তাকে ‘গাছপাগল’ বলে ডাকে। তিনি বলেন এক সময় তিনি চটের থলেয় করে তালের আঁটি নিয়ে ঘুরে বেড়াতেন। বাড়ি বাড়ি যেয়ে কিনে অথবা না কিনে বীজ সংগ্রহ করতেন। সেই ধারা থেকে তিনি সরে যাননি উল্লেখ করে কোহিনুর বলেন সাতক্ষীরা শহরের প্রবেশমুখ বেনেরপোতা থেকে খুলনা সড়ক বরাবর সুভাষিনী বাজার পর্যন্ত অগনিত গাছ লাগিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া সুভাষিনী এলাকা থেকে ভেতরের রাস্তায় জাতপুর হয়ে তালা উপজেলা সদর পর্যন্ত কাঁচা পাকা সড়কের দুই ধারে আমার লাগানো গাছ উঁকি দিচ্ছে।

রোববার বিকালে সাতক্ষীরার বেনেরপোতায় আবারও তাল বীজ, খেজুর বীজ, আমের চারা, জামের চারাসহ বিভিন্ন জাতের গাছ লাগানোর কাজ শুরু করেছেন কোহিনুর। তাকে উৎসাহ যোগাতে এবারের নতুন বৃক্ষরোপন কর্মসূচিতে অংশ নেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউল হক দোলন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ ফিরোজ কামাল শুভ্র ও তালা উপজেলা বনবিভাগীয় অফিসার মো. মিজানুর রহমান।

কোহিনুর বলেন বীজ ও চারা সংগ্রহ এবং তা রোপনে সব খরচ তিনি নিজেই বহন করে আসছেন। এজন্য কারও কাছ থেকে সহায়তা নেন না তিনি। এমনকি দিনমজুরের খরচও বহন করেন তিনি। তিনি বলেন আমি চাই আমার চারদিক সবুজে ছেয়ে থাকুক।

ফার্মসএন্ডফার্মার২৪/জেডএইচ