চুয়াডাঙ্গায় বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও মালটা চাষে সফল কৃষক সাখাওয়াত

463

[metaslider id=”11899″]

কামরুজ্জামান সেলিম, চুয়াডাঙ্গা থেকে: চুয়াডাঙ্গার বৈরি আবহাওয়ার মাঝেও মালটা চাষে সফলতা পেয়েছেন কৃষক সাখাওয়াত হোসেন বাবলু। একই দাগে সাড়ে ২৮ বিঘা জমিতে মালটা চাষ হচ্ছে। নিজের সন্তানের মত করেই মালটা গাছ লালন-পালন করছেন। পাহাড়সম পথ পাড়ি দিয়ে এখন সফলতার দার প্রান্তে। প্রায় দেড় কোটি টাকার মালটা বিক্রির সম্ভাবনা রয়েছে এ মৌসুমে। মালটা বাগানে সার্বক্ষনিক ২৫ জন শ্রমিক কর্মরত রয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়ানের ভগিরথপুর গ্রামের পুরাতন পাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন বাবলু। ২০১৩ সালের প্রথম দিকে খুলনার দৌলতপুর কৃষি গবেষণা ইনিষ্টিটিউট থেকে দুই হাজার টাকা দিয়ে ২০টি বারি মালটা-১ জাতের গাছ কেনেন। গাছগুলো প্রথমে ১৪ কাঠা জমিতে রোপন করে গ্রামের মাঠে। গাছ লাগানোর এক বছর পর তিনি গাছগুলো কলম করে চারা গাছ তৈরি করেন। এর পর হেমায়েতপুর গ্রামের ৫ জন কৃষকের কাছ থেকে ১২ বছরের জন্য বিঘা প্রতি বছরে ৮ হাজার টাকায় লিজ নেন সাড়ে ২৮ বিঘা জমি। লিজ নেওয়া জমিতে প্রায় তিন হাজার কলম মালটার চারা গাছ রোপন করেন। গাছ লাগানোর দুই বছর পর ফুল আসতে শুরু করে। গাছের ডালে ডালে মালটা ফলে ভরা।

প্রতি বিঘা জমিতে বছরে ৬-৮ লাখ টাকা মালটা ফল বিক্রি হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। মালটার ফলন ভাল হলে বছরে দেড় থেকে ২ কোটি টাকার ফল বিক্রি হবে। প্রতি কেজি মালটা ১৮০-২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মালটা বাগান করতে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। উচুঁ জমিতে মালটা গাছ রোপন করতে হয়। বাগানে রাসায়নিক সারের চেয়ে জৈব সার বেশি ব্যবহার করা হয়। ৫-৬ হাত দুরুত্বে গাছের চারা রোপন করতে হয়। একটি মালটা গাছ থেকে বছরে ৩০০-৩৫০টি ফল পাওয়া যায়। মালটা ফল খেতে সুস্বাধু। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। মালটা বাগানে প্রতিদিন ২৫ জন শ্রমিক ৩০০ টাকা দিন হাজিরায় কাজ করছেন।

সাখাওয়াত হোসেন জানান, যখন গ্রামে মালটা বাগান করি তখন গ্রামের মুরুব্বিরা বলতেন সাখাওয়াত পাগল। কারণ ধান,পাট ও গম চাষ করাই কঠিন সেখানে মালটা চাষ পাগলামি। এখন তার সফলতা দেখে সবাই আশ্চর্য! কাছে ডেকে শুনতে চায় পাগলের গল্প। তিনি আরোও জানান, তার দেখাদেখি গ্রামে অনেক কৃষক এখন মালটা বাগান করতে আগ্রহী হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সুফি মো. রফিকুজ্জামান বলেন, আমরা মালটা বাগানটির কথা শুনেছি। সহযোগিতা চাইলে যে কোন সহযোগিতা করা হবে।

ফার্মসঅ্যান্ডফার্মার২৪ডটকম/মোমিন