চুয়েটে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জন্মদিন উদযাপিত

113
চুয়েটে শেখ কামালের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করছেন মাননীয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম ও চুয়েট পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জ্যেষ্ঠ সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের  ৭৪তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আজ ৫ই আগস্ট (শনিবার) ২০২৩ খ্রি. সকাল ১০.০০ ঘটিকায় চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাল্টিপারপাস ভবনের মিলনায়তনে শেখ কামালের জীবন ও কর্মের উপর আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম মহোদয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্টাফ ওয়েলফেয়ার কমিটির সভাপতি ও চুয়েট বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দিন আহাম্মদ, পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শহিদ মোহাম্মদ শাহ হলের প্রভোস্ট ও শিক্ষক সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. সানাউল রাব্বী, কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মো. মকবুল হোসেন, স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বিশ^জিৎ ভট্টাচার্য্য এবং মেকাট্রনিক্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিানিয়ারিং বিভাগের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আফিস আলম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপ-পরিচালক (তথ্য ও প্রকাশনা) মোহাম্মদ ফজলুর রহমান। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের জীবন ও কর্মের একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে শেখ কামালসহ ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধু পরিবারের শাহাদাতবরণকারী সকল শহিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন চুয়েট কেন্দ্রীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মাওলানা হাফেজ ক্বারী নুরুল্লাহ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “পঁচাত্তরের পটপরিবর্তনের পরে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী স্বাধীনতার ইতিহাসকে বিকৃত করতে চেয়েছিল। সেই সময় তারা নানা অপপ্রচার চালালেও কালের পরিক্রমায় আজ সকল সত্য জনগণের নিকট উন্মোচিত হয়েছে। বর্তমান সময়টা ডিজিটাল প্রযুক্তির। এখানে কিছুই লুকানোর সুযোগ নেই। সব তথ্য এখন আমাদের হাতের মুঠোয়।” তিনি আরও বলেন, “একটা দেশ শুধু স্বাধীন হলেই কাজ শেষ হয়ে যায় না। অর্থনৈতিকভাবে, সামাজিকভাবে, সাংস্কৃতিকভাবে সমানতালে এগিয়ে যেতে হয়। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দেশ পুনর্গঠনের যুদ্ধে তাঁরই জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ কামাল যুবসমাজের হাল ধরেছিলেন। ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তাঁর অসামান্য অবদান তারই সাক্ষ্য বহন করে। তাঁর সেই অবদানের প্রতি সম্মান জানাতে সরকার চুয়েটে প্রতিষ্ঠা করেছে বিশ^বিদ্যালয় পর্যায়ে দেশের সর্বপ্রথম “শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর”। আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা এই ইনকিউবেটর থেকে একেকজন উদ্যোক্তা হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আধুনিক ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখবে।”

এর আগে চুয়েট শেখ কামাল আইটি ইনকিউবেটরে স্থাপিত বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। এ সময় চুয়েট পরিবারের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।